দেশের মধ্যে দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাবলু, সে পড়াশোনা করেছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমি থেকে। তিনি কারিগর প্রশিক্ষণ প্রকল্প (CTS) এর অধীনে মেটাল কাটিং অ্যাটেনডেন্ট বিভাগে ৬০০ এর মধ্যে ৪৭৩ নম্বর পেয়ে জাতীয় স্তরে শীর্ষে ওঠেন।
আরও পড়ুন: জিভে জল আনা ১ নম্বর স্ন্যাক্সস ‘কটকটি’! কয়েক মিনিটেই এইভাবে বানিয়ে ফেলুন বাড়িতে, রইল রেসিপি
advertisement
জানা গিয়েছে, ফলাফল প্রকাশিত হয় ৪ সেপ্টেম্বর এবং ৪ অক্টোবর নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত থেকে ৪৬ জন আইটিআই টপারের সঙ্গে বাবলুও শংসাপত্র ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাবলুর মূল বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার শাহপাড়া গ্রামে, তবে ছোটবেলা থেকেই থাকেন জীবন্তির ভাটপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে। তার বাবা পিনাকপানি হালদার, মা কাজল হালদার। মা আবেগভরে বলেন, “বাবলু ছোট থেকেই অন্ধ। খুব চিন্তা করতাম ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে। পরে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করি। ওখান থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। আজ ছেলেকে দেখে গর্বে বুক ভরে গেছে।”
বাবলু জানিয়েছেন, “স্কুল থেকে শিক্ষকরা সবসময় ভরসা ও সাহস দিয়েছেন। আমি চাই, ভবিষ্যতে দৃষ্টিহীন মানুষদের পথ দেখাতে, যেন অন্ধ জনে দেহ আলোয় আলোকিত হয় পৃথিবী।” বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দৃষ্টিহীন ছাত্র আইটিআই পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম হয়ে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করলেন। মুর্শিদাবাদ তথা সমগ্র বাংলায় এখন বাবলু হালদার এক অনুপ্রেরণার নাম।