বাবার সামান্য জেরক্স দোকান। প্রবল আর্থিক অনটনের মধ্যেও প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে মাধ্যমিকে ভালো ফল এক কন্যার। ৯৬ শতাংশ ফল করে বিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের তেঘরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অর্পিতা চক্রবর্তী।
দিন কয়েক আগেই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকেও ভালো ফল হয়েছে। অভাব অনটনকে সাথি করে নিজের মনের জোরে মাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে অর্পিতা। প্রসঙ্গত, অর্পিতার বাবা অরূপ চক্রবর্তীর একটি জেরক্স দোকান আছে। এই দোকানের উপর নির্ভরশীল বাড়ির বাকিরা। বাড়িতে অর্পিতার বাবা মা ছাড়াও রয়েছে ছোট্ট ভাই, দাদু ও ঠাকুমা।
advertisement
আরও পড়ুন: সীমান্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে দৌড়ল দু’জন, ভিতরে যা পেল BSF, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
তবে ছোট থেকে মেধাবী সে। পঞ্চম শ্রেণী থেকে ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে অর্পিতা। তবে কয়েকটা টিউশন এবং নিজের মনের জোর নিয়ে মাধ্যমিকে ৭০০ এর মধ্যে ৬৭২ নং পেয়েছে সে। বড় হয়ে ইচ্ছে ডাক্তার হওয়ার। তবে ইচ্ছে থাকলেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর্থিক স্বচ্ছলতা।
বিদ্যালয় থেকে সর্বোত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: তখন প্রবল ঝড়, বাড়ির ছাদ থেকে ধুপ করে শব্দ! বর্ধমানের ঘটনা শুনলে আঁতকে উঠবেন
আপাততভাবে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবে অর্পিতা। তবে আদৌ কি নানান বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সফলতার শীর্ষে পৌঁছতে পারবে অর্পিতা? সে প্রশ্ন এখন পরিবার থেকে অর্পিতার মনে।
—–Ranjan Chanda