দিনহাটার ওকড়াবাড়ির কাউরাই এলাকায় এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ১৭ বছর বয়সি তসলিমা খাতুন চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তবে সে গভীর রাতে ডিজে বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করে এলাকায়। আর তাতেই বেশ কয়েকজন মিলে তার উপর হামলা চালায়। বর্তমানে সে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
advertisement
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তসলিমা খাতুন জানান, গভীর রাতে প্রায়শই মাইক বাজানো হত তার বাড়ির পাশের বাড়িতে। বর্তমানে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে তাই পড়াশোনা করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। সেই বিষয়ের প্রতিবাদ করায় তাঁকে রীতিমতো বুকে, পিঠে, ঘাড়ে ঘুসি মারা হয়। এছাড়া তাঁর চুল ধরে জোরে জোরে টানাটানিও করা হয়। সেই কারণেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর পরিবারের মানুষেরা তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও সে এভাবেও পরীক্ষা দিতে রাজি। তবে যেন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হয় সেই আবেদন করছে সে পুলিশের কাছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মা সাফিউন্নাহার বিবি জানান, দীর্ঘ সময় ধরে জমি নিয়ে পাশপাশি, দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ ছিল। তবে এদিন রাতে মেয়ের পরীক্ষা খারাপ করার জন্য তার বাড়ির পাশের বাড়িতে বড় বক্স বাজানো শুরু হয়। এরপর তাঁর মেয়ে তসলিমা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাকে ধরে মারধর করা হয়।
এছাড়া ছুরি দিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। তখন কোনও রকমে ভয়ে ঘরের ভিতর লুকিয়ে ছিল তসলিমা। এরপর তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেবে। যদিও এই গোটা ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম পিংকু খন্দকার। ওই পঞ্চায়েত সদস্যই ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসে ওই ছাত্রীকে প্রাণে মারার জন্য। গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে দিনহাটা মহকুমা থানায়। অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন ছাত্রীর পরিবারের মানুষেরা।
Sarthak Pandit





