ক্যানসারের কারণে আগেই ডান হাত হারিয়ে বাম হাত দিয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয় শুভজিতের। বাবা ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস আগে ছিলেন একজন হস্তচালিত তাঁতি। বর্তমানে দাঁতের অবস্থা শোচনীয় হওয়ার কারণে তিনি এখন ঢালাইয়ের নির্মাণ কর্মী হিসেবে কাজ করেন কলকাতায়। মা শিখা বিশ্বাস অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। দুই দিদি বৈবাহিক সূত্রে থাকেন অন্যত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই পরীক্ষার হলে ছাত্রী, ‘সুপারহিরো’ হয়ে সাহায্য পুলিশের! ঘটনা শুনলে চমকে যাবেন
আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে একটি সাইকেল দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ক্যানসার হয়ে গিয়ে শুভজিৎ ভর্তি হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। এরপর পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্গালুরুতে। তবে শত চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তার ডান হাত। পচন অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে তার ডান হাত কেটে বাদ দেওয়া হয় গত ডিসেম্বর মাসে। এরপরই শুরু হয় তার আসল লড়াই।
আরও পড়ুন: চোখেও স্ট্রোক হয়, কখনও শুনেছেন? কীভাবে বুঝবেন জানুন, দৃষ্টিশক্তি হারানোর ভয় থেকে বাঁচুন
তার কারণ হাতে অস্ত্রোপচারের আগে পর্যন্ত সে অন্যদের মতো স্বাভাবিকভাবেই ডান হাত দিয়ে পরীক্ষা দেয়। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে অস্ত্রোপচার করে তার ডান হাত কেটে বাদ দেওয়া হয়। ডান হাত চলে যাওয়ার পর থেকেই চিন্তিত হয়ে ওঠে শুভজিতের পরিবার। তবে দমে যাইনি শুভজিৎ। মাত্র দুমাস বাকি মাধ্যমিক পরীক্ষা, শুরু হয় বা হাত দিয়ে লেখার অভ্যাস তার।
প্রথমদিকে লিখতে অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে ডান হাতের মতোই সাবলীল ভাবে বাম হাত দিয়ে লিখতে শুরু করে সে। এরপর মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ইতিমধ্যেই আর পাঁচটা স্বাভাবিক পরীক্ষার্থীর মতোই এখন সে পরীক্ষা দিচ্ছে, তবে বাম হাত দিয়ে! তার এই অদম্য জেদ কে কুর্নিশ জানিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সকলেই।
Mainak Debnath





