সেই তালিকায় রয়েছে খড়গ্রাম ব্লকের দুজন। খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত উত্তর গোপীনাথপুরের বাসিন্দা মনিরুদ্দিন আহমেদ ও জহিরুল হক।মনিরুদ্দিন আহমেদ খড়গ্রাম হাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। বর্তমানে তিনি এখনও পড়াচ্ছেন স্কুলে। এই খবর স্কুলে এসে পৌঁছানোয় হতভম্ব সহকর্মীরাও।
আরও পড়ুন: কালী পুজোর আগেই সেজে উঠছে এই বিখ্যাত সতীপীঠ! অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয় মন্দিরে
advertisement
জানা গিয়েছে, নবগ্রাম ও জলঙ্গির চার, খড়গ্রাম ও সুতির তিন, কান্দির দুই ও সমশেরগঞ্জ, ভরতপুর, সাগরপাড়া, বড়ঞা,রেজিনগর,নওদা, ডোমকল ও বহরমপুরের একজন করে বাসিন্দার নাম তালিকায় আছে। অভিযোগ, ২০১৪ সালে টেট পাশ করেননি। অথচ ২০১৬ সাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করছিলেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: প্রজাপতি মনে হচ্ছে? আদতে এটি একটি গাছ! জানেন কোথায় পাবেন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অনেকেই টেট পাশ না করে সেই সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নির্দিষ্ট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে দিয়ে অভিযোগের তদন্ত করায়।
সিবিআই ৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। তখন আদালতের নির্দেশে পুনরায় নথি পরীক্ষা করে পর্ষদ। গড়মিল ধরা পরে তখনই। পর্ষদের সামনে ওই শিক্ষকরা তাঁদের টেট সাফল্যের নথি দেখাতে পারেন নি বলেই চাকরি বাতিল তালিকায় নাম উঠেছে ওই শিক্ষকদের। যদিও খড়গ্রাম হাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক মনিরুদ্দিন আহমেদের দাবি, ছ’বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। কেন চাকরি গেল জানি না। যদিও শিক্ষকের চাকরি যেতেই অস্বস্তিতে অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরাও।
কৌশিক অধিকারী