মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম হলে এই সিনার্জি ইভেন্ট আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, এম এস এম ই দফতরের সচিব রাজীব পান্ডে, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা-সহ মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও বীরভূম জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক ও শিল্প উদ্যোগপতিরা।
আরও পড়ুন: ‘২০-২৫ মিনিটের জন্য ওরা খুন করতে পারেনি’, হাউ হাউ করে কেঁদে ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁস শেখ হাসিনার!
advertisement
মুর্শিদাবাদ জেলাতে শিল্প সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে হবে। আর তাহলেই বাড়বে কর্মসংস্থান। ঘুচবে বেকারত্ব। এই বার্তা দিতেই মুর্শিদাবাদ জেলায় এই প্রথম হল ব্যবসায়ী ‘সিনার্জি’ কনক্লেভ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে সিনার্জির মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ জেলায় হাজির হয় সরকার। শিল্পোদ্যোগীদের মুখ থেকে সমস্যা শুনে তৎক্ষণাৎ সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হল একই সঙ্গে চাকরির আশায় বসে না থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে অপরকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ারও আহ্বান জানানো হল এই সিনার্জি থেকেই।
বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এবং উদ্যোগপতি উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই এদিনের সেমিনার বলে জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। সরকারি নানান প্রকল্পের সুবিধা, ঋণপ্রদান-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে মুর্শিদাবাদ জেলায় ক্ষুদ্র মাঝারি ও ছোট শিল্প উদ্যোগপতিরা এগিয়ে রয়েছেন। অনেক কর্মসংস্থান বেড়েছে। কিছু সমস্যা থাকলে দ্রুত তার সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুর্শিদাবাদ জেলায় শিল্প সম্ভাবনার সঙ্গে আগামীদিনে এই তিন জেলায় ৮০ হাজার কর্ম সংস্থানের সম্ভাবনা ও ৭ হাজার কোটির বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা বললেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
আরও পড়ুন: সইফের মেরুদণ্ড থেকে মাত্র ২ মিমি দূরে ঢুকেছিল এই ৩ ইঞ্চি ধারালো ছুরি, গল গল করে বেরোচ্ছিল রক্ত!
মন্ত্রী বলেন, ” মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া কর্মতীর্থে সুতোর গোডাউন কাম সেলিং কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে থেকে হরিহরপাড়া এবং ডোমকল এলাকার প্রায় ১৫০০ হ্যান্ডলুম ও পাওয়ারলুম তাঁতিরা প্রয়োজনীয় সুতো পাবেন এক্স ফ্যাক্টরি মূল্যে। আজ থেকেই সেই কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে। তাম্রলিপ্ত স্পিনিং মিল দ্বারা পরিচালিত হবে।” তিনি আরও বলেন, ” এই সিনার্জি ইভেন্টের প্রস্তুতির সময়কালে তিনটি জেলায় বিনিয়োগকারী শিল্প সমিতি এবং উদ্যোক্তাদের ২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। এমএসএমই দফতরের সাফল্য থেকে অনুমান করা যায় যে আগামী বছরগুলিতে এই তিনটি জেলায় প্রায় ৮০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা-সহ আনুমানিক ৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে”।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণের সব থেকে বড় সুবিধা হল সহজে ফেরতের উপায়। এই ধরনের ঋণ শোধ করার বিভিন্ন রকমের উপায় থাকে। যেমন অল্প অল্প করে ইন্সটলমেন্টে বা দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী ইএমআই-এর মাধ্যমে ঋণ মিটিয়ে দিতে পারেন আপনি। শোধ করার শর্তে আপনি নিজের সুবিধা ও অসুবিধা বুঝেও নেওয়ার সুযোগ পাবেন এ ক্ষেত্রে। যার ফলে ব্যবসায় টাকা খাটানোর পরেও আপনি ঋণ শোধ করার জন্য বাড়তি টাকা হাতে পাবেন।
সহজে আবেদনের সুযোগ- নাম নথিভুক্ত করানো বা আবেদন করার ক্ষেত্রেও ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা অনেক। ব্যাঙ্ক হোক কি এনবিএফসি, অনলাইন মাধ্যমে খুব সহজ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে কোনও ব্যবসায়ী ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। অল্প কিছু নথি ও তথ্য যাচাই করিয়ে নিলেই চটজলদি ক্ষুদ্র ঋণ পেতে আর সমস্যা হয় না। টাকাও এসে যায় খুব তাড়াতাড়ি। এমনিতে ব্যাঙ্ক বা সমবায়িকা, যে কোনও জায়গাতেই ঋণ শোধের সময় চড়া সুদ দিতে হয়। সেই ভয়েই অনেকে পিছিয়ে আসেন ব্যবসায়িক ঋণের থেকেও। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণে সুদের হার নির্ভর করে অনেক শর্তের উপর, যেমন- ঋণ গ্রহীতার শোধ করার ক্ষমতা, ঋণের পরিমাণ, বা আগের কোনও ঋণ থাকলে তা শোধ দেওয়ার নথিপত্র ইত্যাদি। সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে অনেক কম সুদের হারে অনেক ব্যবসায়িক ঋণ খুব সহজে পাওয়া যায়।
কৌশিক অধিকারী