এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শারীরিক, বাক ও শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যার সঠিক মূল্যায়ন এবং নিয়মিত থেরাপির উদ্দেশেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, সময়মতো থেরাপি পেলে এই শিশুদের পড়াশোনা ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে এই উদ্যোগ।
advertisement
নোটিসে জানানো হয়েছে, ফিজিওথেরাপিস্ট বা অকুপেশনাল থেরাপিস্ট এবং অডিওলজিস্ট ও স্পিচ থেরাপিস্ট এই দুই বিভাগে অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে। আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। থেরাপিস্টদের মূল দায়িত্ব থাকবে শিশুদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, চলাফেরা সংক্রান্ত সমস্যা দূর করা, কথা বলা ও শোনার ক্ষমতা উন্নত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করা।জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্বাচিত থেরাপিস্টদের প্রতিদিনের পারিশ্রমিক হিসেবে মাথাপিছু ১,৫০০ টাকা দেওয়া হবে। এই অর্থের মধ্যে যাতায়াত খরচও ধরা হয়েছে। তবে থেরাপির সময় প্রয়োজনীয় প্রাথমিক যন্ত্রপাতি, থেরাপি সামগ্রী এবং অডিওমিটার সহ অন্যান্য উপকরণ সংশ্লিষ্ট থেরাপিস্টদের নিজেদেরই বহন করতে হবে।আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
আবেদনপত্র নির্দিষ্ট ফরম্যাটে পূরণ করে ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট অফিসার, সমগ্র শিক্ষা মিশন, বর্ধমান-এর দফতরে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র পাঠানোর সময় খামের উপর বড় অক্ষরে “APPLICATION FOR EMPANELMENT AS THERAPIST” লিখে দেওয়া বাধ্যতামূলক। সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি ও সার্টিফিকেট নিজে সই করে (সেল্ফ অ্যাটেস্টেড) জমা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বহু আবেদনকারীর সুবিধার কথা মাথায় রেখে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের পরে জমা পড়া আবেদন বা অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের আশা, এই উদ্যোগের ফলে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের থেরাপি পরিষেবা আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর হবে। পাশাপাশি, যোগ্য থেরাপিস্টদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগও তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।






