আর এবার ওই পরীক্ষার দ্বিতীয় সেশনে সকলকে তাক লাগিয়ে সমগ্র দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে পুরুলিয়ার দেবদত্তা। এতেই খুশির জোয়ার সর্বত্র। দেবদত্তা মাঝির আদি বাড়ি পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের জামবাদ গ্রামে। তাঁর ঠাকুমা পুটরি মাঝি নাতনির এই সাফল্যে আপ্লুত। এই আনন্দ নাতনিকে মাছের মাথা দিয়ে কোন পদ তৈরি করে খাওয়াবেন বলে জানান তিনি। কারণ, দেবদত্তা যে ছোট থেকেই মাছের মাথা খেতে খুব ভালবাসে।
advertisement
এ বিষয়ে দেবদত্তা মাঝির দাদু নিধিরাম মাঝি বলেন, ‘নাতনির এই সাফল্যে তিনি খুবই গর্বিত। খুব শীঘ্রই দেবদত্তা নিজের দেশের বাড়িতে আসবে। আপাতত দেবদত্তা বিদেশ যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই দেশের বাড়ি এলাকায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজনীয়।’ আর সেই কারণেই নাতনির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত দাদু। দেবদত্তার এই সাফল্যে খুবই খুশি তাঁর গ্রামের মানুষজনও। দেবদত্তা যাতে আগামী দিনে উচ্চতার শিখরে পৌঁছতে পারে এমনটাই কামনা করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে নতুন বেঞ্চে গেল মামলা, সকলের নজর ২৮ এপ্রিলে! কী হতে চলেছে?
দেবদত্তা মাঝির রেজাল্ট একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন তিনটি বিষয়েই দেবদত্তার নম্বর একশো করে তিনশোতে তিনশো। দেশে প্রায় ১১ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিনশোতে তিনশো পেয়েছে ২৪ জন৷ তার মধ্যে দু’জন ছাত্রী। তাদের মধ্যে একজন হলেন পুরুলিয়ার দেবদত্তা। এই পরীক্ষায় প্রথম সেশনে রাজ্যে প্রথম হয়ে তাঁর প্রাপ্ত পার্সেন্টাইল ছিল ৯৯.৯-এরও বেশি। আর এবার তাঁর এনটিএ স্কোর একশো। দ্বিতীয় সেশনের পরেও ওই পরীক্ষার বৃত্তটা সম্পূর্ণ হয়নি। এখনও যে আরও কয়েকটি টেস্ট বাকি।
যেগুলো অনলাইনে দিতে হচ্ছে। ফলে ভীষণই ব্যস্ত সে। এই রেজাল্টের ভিত্তিতে সে কোন আইআইটি কলেজে পাঠ নেবে তা ঠিক হবে। সেই কাজ মিটলেই দেবদত্তা তাঁর বাবা-মাকে নিয়ে পুরুলিয়ার গ্রামের বাড়ি আড়শার জামবাদে আসবে। জঙ্গলমহলের ভূমিকন্যার ভারত জয়ের আনন্দে আপ্লুত গোটা জেলা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি