২০২৩ সালের অ্যাডভান্সের রেজাল্ট আউট হতেই দেখা গেল বাঁকুড়ার সাগ্নিক নন্দী গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রথম এবং গোটা দেশের মধ্যে ৩৯ তম স্থান অধিকার করেছেন। অবশেষে সন্তুষ্ট বাঁকুড়ার গর্ব সাগ্নিক। নিজের স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বম্বে আইআইটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চায় সাগ্নিক নন্দী।
আরও পড়ুন: মেধাবীদের জন্য ভগবত গীতা স্কলারশিপ, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পাশরা জানুন
advertisement
নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যাবসায় এবং ধারাবাহিকতার সঙ্গে পড়াশোনা করে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে মূল বাধা হয় ডিস্ট্রাকশন। মুঠোফোন, ইন্টারনেট এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর জগতে কীভাবে ডিস্ট্রাকশন থেকে দূরে থাকতে হবে সেটাই জানালেন সাগ্নিক। তাঁর মতে, কোন কোন জিনিস পড়াশোনা থেকে বিচ্যুত করতে পারে সেগুলোকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সেই বিষয়গুলিকে যতটা না করলেই নয় ঠিক সেই সময়টুকুই দিতে হবে এবং বাকি সময়টা পড়াশোনার জন্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ডাক্তারির প্রবেশিকায় ৭২০-তে ৭০৫! সর্বভারতীয় পরীক্ষায় স্থান কত বাংলার ছেলের? গোটা দেশ গর্বিত
ভাল ফল করা সাগ্নিকের একটি অভ্যাস। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন সাগ্নিক। দুই থেকে তিন ঘন্টা পড়াশোনা করার পর ছোট্ট একটা সময় নিজের জন্য রাখা থাকত। এই ভাবে একটি রুটিন মেনে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সাগ্নিক নন্দী। তিনি জানাযন, “অ্যাডভান্সে ভাল ফল করতে গেলে যখনই কোনও বিষয় বুঝতে অসুবিধা হবে, সেই সমস্যাগুলি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয়ে এমন কয়েকজন শিক্ষককে বাছাই করতে হবে যাঁরা বন্ধুর মতো করে কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে দেবেন।”
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী