জানা যায় শান্তিপুর বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেছে ১২ জন স্টুডেন্ট, ৭৫ শতাংশের ওপরে নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ জন এবং বাকি সকলেই ৬০% এর ওপরে নম্বর পেয়েছে। শুধু একজন পড়ুয়া দুর্ভাগ্যবশত উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এছাড়াও গোটা শান্তিপুরে দ্বিতীয় তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান অধিকারীও এই স্কুল থেকেই। যার মধ্যে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে একই পরিবারের দুই যমজ বোন রিক্তা প্রামাণিক এবং মুক্তা প্রামানিক। এবং চতুর্থ স্থান অধিকার অনুষ্কা সমাদ্দারের।
advertisement
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অতনু চৌধুরী জানান, শুধু এ বছর নয় আমাদের এই স্কুল থেকে প্রত্যেক বছরই যথেষ্ট ভালো মার্কস নিয়ে পাস করে বেশিরভাগ পড়ুয়ারা। এবং ভবিষ্যতে তারা এই স্কুল থেকে পাশ করার পরে বিভিন্ন ভালো জায়গায় উচ্চশিক্ষা লাভ করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টায় রয়েছে। তবে বিদ্যালয় এর বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। বর্তমানে ১৭৫০ জন সর্বমোট পড়ুয়া রয়েছে আমাদের এই বিদ্যালয়ে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে সেই পরিমাণে শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। ২০১২ সালে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই বিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত হন সেই জায়গা পর্যন্ত খালি রয়েছে। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় বেশ খানিকটা অসুবিধা হচ্ছে। স্কুলে পরিকাঠামো অনেকখানি অনুন্নত, যেহেতু এখন ছেলেমেয়ে একসঙ্গে কো এডুকেশন করানো হয় সেই তুলনায় বেশ কিছু কমনরুম শৌচালয় এবং দুটো শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও বাচ্চাদের খেলাধুলার প্লেগ্রাউন্ড থেকে শুরু করে সাইকেল রাখার গ্যারেজটিও ভগ্ন দশা প্রায়। স্কুলের বর্তমান কমিটির সদস্যদের কাছে আমাদের অনুরোধ রয়েছে দ্রুত এই পরিস্থিতির সমাধান করার।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার নন্দী জানান, আমাদের বিদ্যালয় বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে থাকে তবে এ বছর একটি মিরাকেল হয়েছে যে শান্তিপুরের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বিতীয় তৃতীয় এবং চতুর্থ আমাদের এই বিদ্যালয় থেকে হয়েছে। তিনি আরো জানান, পড়াশোনা শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক নয়, গ্রামেও বহু প্রতিভা রয়েছে। পূর্বে আমাদের এই বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে বর্তমানে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় তারা কর্মরত। আমরাও বর্তমান এই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সেই সম্ভাব্য দেখতে পাচ্ছি।
Mainak Debnath