চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের থেকে কি কেড়ে নেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিকের খাতা? বড় সিদ্ধান্ত সংসদের!
সুপ্রিম কোর্টের রায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় দেড় হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। শিক্ষার দীক্ষায় এগিয়ে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এরপরেই স্কুলে স্কুলে সমস্যায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুল চালাতে গিয়ে প্রতিদিন অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেরকমই একটি স্কুল হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত গোপালনগর বিহারীলাল বিদ্যাপীঠ।
advertisement
গরমে সাপের উপদ্রব বাড়ছে! ঘরে সাপ ঢুকলে ভয় না পেয়ে কী করবেন? কোন গন্ধে জব্দ সাপ? জেনে নিন
এই স্কুলে স্কুলে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৪৪২। স্কুলে শিক্ষক-শূন্য পদ আগের থেকেই রয়েছে। মোট ৩০ জন শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আরও দুজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়।
কোলাঘাটের গোপালনগর বিহারীলাল বিদ্যাপীঠ স্কুলে দুজন শিক্ষকের পাশাপাশি আরও তিনজন গ্রুপ ডি স্টাফের চাকরি বাতিল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। ফলে তারা আর স্কুলে আসছে না। তাতেই সমস্যায় পড়েছে স্কুল। প্রতিদিন স্কুল শেষ হওয়ার পর স্কুলের শ্রেণিকক্ষ সহ অফিস রুমে তালা লাগাবে কে এ নিয়ে রীতিমত চিন্তায় প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার মাইতি জানান, ‘ একজন ইংরেজি এবং একজন সংস্কৃত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলের তিনজন গ্রুপ ডি স্টাফের চাকরি বাতিল হয়েছে। তারা স্কুলে আসছে না। ফলে স্কুল চত্বর ঝাঁট দেওয়া থেকে শুরু করে শ্রেণীকক্ষ-সহ অফিস রুমে তালা লাগানোর লোক নেই।’
প্রতিদিন স্কুল শেষ হওয়ার পর দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ক্লার্ক দুজনে মিলেস্কুলের রুমে তালা চাবি লাগাচ্ছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমনটাও দাবি করেন পুরোপুরি গ্রুপ ডি স্টাফেদের উপর নির্ভরশীল, এখন দেখা যাচ্ছে স্কুলের ঝাঁট দেওয়া থেকে শুরু করে তালা দেওয়া সবটাই প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের করতে হচ্ছে।
সৈকত শী