বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রধান শিক্ষক হতে ইচ্ছুক শিক্ষক শিক্ষিকারা আবেদন জানান নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে। তবে এর পরেই ঘটে বিপত্তি। আদালতের নির্দেশ মতো, বেশ কয়েকজন শিক্ষকের করা মামলায় পরবর্তী শুনানি বা নির্দেশের আগে পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করা যাবে না বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে সকলের মধ্যে।
advertisement
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন শিক্ষকের করা মামলাতে ২২মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন পরবর্তী শুনানি বা নিয়োগ নির্দেশের আগে কোনও প্রক্রিয়া করা যাবে না। আগামী ২৪ জুন পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানানো হয়েছে। শুনানি এবং নির্দেশের পর এই সংক্রান্ত কাজ এগানো যাবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে সেলফ অ্যাসেসমেন্ট বা মূল্যায়নের যে ৩০ নম্বর ধার্য করা হয়েছিল। তাতেই আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। সিনিওরিটি বা অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও সেলফ এসেসমেন্ট বিষয়ে বেঁকে বসেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষক। হাইকোর্টে ওঠা এই মামলায় হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। পরবর্তী শুনানি ২৪ জুন। ততদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া যাবে না নির্দেশ হাইকোর্টের।
পশ্চিম মেদিনীপুর ডিপিএসসি তরফে জানা গেছে, দ্রুত আদালতে নির্দেশে হলফনামা জমা করা হবে এবং শীঘ্রই এই জট কেটে যাবে। শিক্ষক নেতা অখিল বন্ধু মহাপাত্র বলেন, “বেশ কয়েকজন এখানে সমস্যা সৃষ্টি করছেন। প্রায় ১৭ বছর পর বেশ কয়েক হাজার শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হত, বেশ কয়েকজন শিক্ষকের করা মামলায় তা বেশ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।”দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা মহল।
রঞ্জন চন্দ