শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কাজ করার সুযোগ পান কলেজ থিয়েটার প্রোডাকশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং রাজ্য স্তরের বিভিন্ন নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন। ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি তৈরি হয় বাস্তব অভিজ্ঞতা। মোট আসন সংখ্যা ৬০টি। আবেদনকারীর যোগ্যতা দরকার নুন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস। ছটি সেমিস্টার হিসেবে মোট তিন বছরের কোর্স। সরকারি কলেজ হওয়ার কোর্স ফি অনেক কম। ছটি সেমিস্টারের মোট কোর্স ফিস ৯ হাজার ৮০০ টাকা। দূরের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রয়েছে কলেজের হোস্টেলে থাকার সুযোগ। যদিও হোস্টেলে থাকার জন্য আলদা খরচ বহন করতে হবে। কোর্স শেষ করার পর থাকছে একাধিক কাজের সুযোগ। থিয়েটার, টেলিভিশন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও সিনেমা জগতে অভিনয়শিল্পী, সহকারী পরিচালক, নাট্যকার বা সেট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
advertisement
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. চয়ন রঞ্জিত বলেন, “এই নাট্যচর্চা কোর্সটি শুধু পেশাদার অভিনয় শেখানোর উদ্দেশ্যে নয়, গ্রামবাংলার দরিদ্র অথচ মেধাবী ছেলেমেয়েদের জন্য একটি আশার আলো। কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা করার মত সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না। তাদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের কলেজ বহুদিন ধরেই নাটকচর্চার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি পড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা চাই, গ্রামের সন্তানরাও যেন এই শিল্পে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পায়।” কম খরচে সরকারি কলেজে অভিনয় শেখার এমন সুবর্ণ সুযোগ খুব বেশি নেই। যারা অভিনয়কে ভালোবাসেন, কিন্তু শুধু সুযোগের অভাবে থেমে গেছেন—তাদের জন্য এগরা কলেজের এই কোর্স হতে পারে জীবনের মোড় ঘোরানোর নতুন দিশা।
অনেকে আবার নাট্যশিক্ষা নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনার সুযোগ পান—যেমন মাস্টার্স ইন ড্রামা, থিয়েটার স্টাডিজ এন্ড ড্রামা আর্ট। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা, স্কুল, কলেজ বা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নাট্যশিক্ষক বা থিয়েটার ট্রেইনার হিসেবেও কাজ করার সুযোগ থাকে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কালচারাল অফিসার, মিডিয়া কনসালট্যান্ট বা ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও কেরিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব।
মদন মাইতি