আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।এর জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে এই চাকরি প্রার্থীদের তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।পাশাপাশি, পর্ষদের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে দেওয়া একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এই ডকুমেন্ট সহ বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে।পরবর্তী ক্ষেত্রে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউতে এই চাকরি প্রার্থীদের ডাকা হবে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: আইন মেনেই উপাচার্যদের বৈঠকে ডাক নয়া রাজ্যপালের, নজরে রাজভবনের বৈঠক
ইতিমধ্যেই তিন দফায় শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়েছে পর্ষদ। বুধবার চতুর্থ দফায় ইন্টারভিউ নিচ্ছে পর্ষদ। এখনও পর্যন্ত পঞ্চম দফা পর্যন্ত ইন্টারভিউ নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পঞ্চম দফায় ১৭ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬ জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। কোন জেলার আবেদনকারীদের জন্য কবে কবে নেওয়া হবে ইন্টারভিউ তারও বিস্তারিত তালিকা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে পর্ষদ।
পর্ষদ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৪০ হাজারেরও বেশি আবেদন এসেছে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য। শূন্য পদে রয়েছে ১১ হাজারের সামান্য বেশি।
আরও পড়ুন: 'শিক্ষকতা শুধুই পেশা নয়...'! শিক্ষকদের নিয়ে ধোনির মন্তব্যে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব
ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াটি শেষ করতে চায় পর্ষদ। তবে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টকেও পর্ষদ জানিয়েছে নিয়োগ তারা এখনই করছে না। যদিও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় নম্বর কারচুপি আটকাতে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ। পরীক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে পৃথক পৃথক ল্যাপটপ। অনলাইনে চাকরি-প্রাথীদের ইন্টারভিউ নিয়ে তারা নম্বর দিয়ে দিচ্ছে।
অর্থাৎ, এক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার নম্বর সংশোধনের কোনও সুযোগ থাকছে না বলেই দাবি করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। এবং সেই নম্বর পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ারও ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে নিয়োগের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই প্রাথমিকের টেটের উত্তরপত্রের কপিও পর্ষদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, চলতি মাসের মধ্যেই টেটের ফল প্রকাশ করতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।