প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভারতীয় নৌবাহিনী অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের জন্য ১ জুলাই থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। প্রায় ১০,০০০ মহিলারা এই প্রক্রিয়ার জন্য নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের পরে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া ১৫ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
নৌবাহিনীতে মহিলাদের ভর্তি নিয়ে ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী (Dinesh Tripathi) গত মাসে একটি সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন যে 'অগ্নিবীরদের' নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ লিঙ্গ-নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা হবে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই এতে যোগদান করতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন : অগ্নিপথ প্রকল্প বড়সড় সাফল্য কেন্দ্রের! প্রচুর সংখ্যায় ভিড় জমছে মহিলাদের!
দীনেশ ত্রিপাঠি আরও জানিয়েছেন যে, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীতে বর্তমানে ৩০ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর বিভিন্ন শাখায় তাঁরা যোগ্যতার সঙ্গে নিজেদের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে, এবার থেকে মহিলাদেরও নিয়োগ করব। যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজেও তাঁদের লিঙ্গ-নিরপেক্ষ ভাবে মোতায়েন করা হবে।’
আরও পড়ুন : সরকারি এই সংস্থায় বিপুল নিয়োগ, বেতন শুরু ৬৭ হাজার টাকা! জানুন
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, প্রথম ব্যাচের নৌবাহিনী 'অগ্নিবীর'রা ২১ নভেম্বর, ২০২২ থেকে ওড়িশার আইএনএস চিল্কা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে শুরু করবে। ওই সাক্ষাৎকারেই ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি (Anil Puri) জানিয়েছেন, ‘অগ্নিবীর প্রকল্পের ঘোষণায় যারা যারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছিল তাদের সেনাবাহিনীতে কোনও স্থান নেই।'
তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি হল শৃঙ্খলা। তাই সেনাবাহিনীতে অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুরের জন্য কোনও জায়গা নেই। সে কারণে নতুন নিয়ম করা হয়েছে যে, প্রত্যেক প্রার্থীকে শংসাপত্র দিতে হবে যে তারা কোনও প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের অংশ ছিল না। ১০০ শতাংশ পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া এই নিয়োগে কেই আবেদন করতে পারবেন না। যাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তারা যোগ দিতে পারবে না। প্রার্থীদের আবেদনপ্ত্রের মধ্যেই এই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে যে তারা কোনও ভাবেই বিক্ষোভের অংশ ছিল না।’