মূলত একাধিক পড়ুয়ার দাবি করেছেন কোনও র্যাগিং-এর ঘটনা তাদের ব্লকে হয়নি। যদিও এদের মধ্যেই একাধিক পড়ুয়া ৯ অগাস্ট রাতে যে জেনারেল বডি মিটিং হয়েছিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৯ অগাস্টে র্যাগিংয়ের ঘটনা নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। তদন্ত কমিটি তার জন্য ৯৫ জন পড়ুয়াকেও শাস্তির সুপারিশ দিয়েছে। এই ৯৫ জন পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এ-টু ব্লকের হস্টেলের আবাসিক। বেশিরভাগই আন্ডার গ্রাজুয়েট বা ফাইনাল ইয়ারের আবাসিক পড়ুয়া। শাস্তি সুপারিশ হিসেবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেল থেকে পুরোপুরি ভাবে বহিষ্কার এবং সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
advertisement
এ দিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পড়ুয়াদের শাস্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও সময় নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র্যাগিং-বিরোধী কমিটির বৈঠকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছনো গেল না।
আরও পড়ুন – ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া নিয়ে আরও সময় নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
আরও পড়ুন – কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল-বিজেপি কাউন্সিলরদের তুমুল মারামারি, অশান্তি থামাতে আসরে ফিরহাদ
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট শুক্রবার র্যাগিং-বিরোধী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হলেও সেই রিপোর্ট এবার পাঠিয়ে দেওয়া হল বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-বিরোধী স্কোয়াডের সদস্যদের কাছে। ১৫ দিনের মধ্যে র্যাগিং-বিরোধী স্কোয়াড-এর কাছ থেকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে মতামত চাওয়া হয়। তাদের তরফে মতামত নেওয়ার পরই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে।
