সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেল স্টেশনগুলিতে ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সুযোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ যাত্রীদের ফ্রি ইন্টারনেটের সুযোগ করে দেওয়া। যার মাধ্যমে তারা প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করে নিতে পারবেন। কিন্তু সেই ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে বাচ্চারা দিনরাত খেলে চলেছে অনলাইন গেম। সঙ্গে তাদের পছন্দের রকমারি জিনিস ডাউনলোড করছে স্টেশনে বসেই।
advertisement
এক মনে ব্যস্ত অনলাইন গেমে। একে অপরের দিকে তাকানোরও ফুরসত নেই। ওদের কেউ বা স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। কেউ বন্ধুর সঙ্গে খেলতে বেরিয়েছে। কিন্তু সকলেরই গন্তব্য রেল স্টেশনের খোলা অঞ্চল। কখনও স্টেশনের ভিতরে বসে, কখনও রেল পুলিশ তাড়া খেয়ে স্টেশনের বাইরে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে বসেই চলছে অনলাইন গেমিং। স্টেশন ঢোকার সিঁড়ি তে বসেও পাওয়া যাছে ওয়াইফাই এর কানেকশন। তাই সেখানেও বসে রয়েছে গেমপ্রেমীরা। এতে কিশোর থেকে তরুণ সমাজের বেশ বিপদ ঘনিয়ে আসছে। পড়াশোনার নাম করেও অনেকে এক দৌড়ে ছুটে চলে যাচ্ছে স্টেশনে।
বালুরঘাট স্টেশনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাকুল্যে চার জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে। বাকি সময় কার্যত ফাঁকা পড়ে থাকে স্টেশন চত্বর। সাধারণ মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। ট্রেনের সময়মতো যাত্রী পরিবহনের জন্য কিছু টোটো ও অটোচালক স্টেশনে যাতায়াত করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি ‘পটল কুমার’, জটিল অস্ত্রোপচারে বার হল ১৫ সেমির টিউমার, কেমন আছে হিয়া দে
বালুরঘাট স্টেশনের দায়িত্ব থাকা এক রেল কর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন, রেল পুলিশ তৎপর থাকে। সবসময় প্ল্যাটফর্মে সবাইকে উঠতে দেওয়া হয় না। কিন্তু ট্রেন আসা-যাওয়ার আগে সকলেই প্ল্যাটফর্মে আসেন। যেহেতু স্টেশনের চারিদিকে খোলা, তাই সবার যাতায়াতের ক্ষেত্রে আটক করা যায় না। সারাদিনই কিছু ছেলে স্টেশন চত্বরে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তারা যে সবাই ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য আসেন তা সঠিক নয়।
সুস্মিতা গোস্বামী