জনসাধারণকে রক্ত বিজ্ঞান বুঝিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনে যুক্ত করা ও থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা গড়ে তোলাই ছিল এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। শিবিরে থ্যালাসেমিয়া টেস্টের জন্য প্রায় ১০০ জন ছাত্র ছাত্রীর রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই সংক্রাত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন ঃ বৃষ্টির ঘাটতি ৫০ শতাংশ, আমন চাষে সমস্যা
advertisement
এদিনের ওই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মালঞ্চা ZMRM হাই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ ছাত্র ছাত্রীগণ। থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের সদস্যরা বলেছেন আগামী দিনে এই রোগে মানুষ যাতে জীবন না হারায় এটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দম্পতির কোনও একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে তাঁদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু উভয়েই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তাহলে সন্তানের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা প্রবল। থ্যালাসেমিয়া মহামারী প্রতিরোধে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করা ও তা পক্ষদ্বয়কে অবহিত করার জন্য আইন প্রণয়ন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন ঃ ১৪ দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি, পানা পুকুর থেকে উদ্ধার মৃত বধূর দেহ
পৃথিবীর যেসব দেশেই থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ হয়েছে সেখানেই আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। তবে যে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে তা হল আমরা এখনও প্রস্তুত নই। কিন্তু এটাও সত্য যে আইনের উপস্থিতি গণ সচেতনতা আনতে সহায়তা করে ও জটিল সামাজিক পরিস্থিতিকে সহজ করে।
সুস্মিতা গোস্বামী