আরও পড়ুন ঃ আত্রেয়ীতে বাঁধ দিতেই বালুরঘাটে জলসঙ্কট!
উলেখ্য, হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় কোভিড ওয়ার্ড চালু করা হয়েছিল। সেখানেই এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের মাধ্যমে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছিল। ফলে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সুবিধা হবে। জেলার বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করার ক্ষেত্রে চাপ কমবে। সূত্রের খবর, অক্সিজেনের সংকট দেখা দিলে অন্য জেলা থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। পাশাপাশি, অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলে গাড়ি সহযোগে অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন পড়বে না। কারণ, অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট বাতাস থেকে অক্সিজেন শুষে নেয়। এরপর প্ল্যান্টে ফিল্টারসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ানো হয়। সেই অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় হাসপাতালের রোগীদের।
advertisement
সেই মতোই আগাম প্রস্তুতি স্বরূপ, অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে হাসপাতালের প্রত্যেক শয্যায় নলবাহিত অক্সিজেন পৌঁছে যাবে রোগীদের কাছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অক্সিজেন সরবরাহ করবার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। পার্শ্ববর্তী জেলা মালদা থেকে অক্সিজেন আমদানি করে মুমূর্ষু রোগীদের তারপর সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যেতে হতো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। অনেক সময়ই তাতে দেরি হয়ে যেত। সমস্যায় পড়তেন চিকিৎসকরা। অক্সিজেন প্ল্যান্ট এর মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহের কাজ শুরু হওয়াতে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি অনেকটাই পূর্ণ হয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী