সেখানেই সাইকেল হাতে এই দুই ছাত্রীর ছবি ফুটে উঠেছে। একজন ললিতা পাহান ও প্রিয়াঙ্কা মার্ডি। তারা একই স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী। দু’জনই গলায় গলায় বন্ধু। ফলে দুই বন্ধুর ছবি একই সাথে রাজ্য সরকারের পোস্টারে স্থান পাওয়ায় যথেষ্ট খুশি তারা। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১৪ অগাস্ট রাজ্যজুড়ে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। তার আগে রাজ্যের শতাধিক স্কুলের মধ্যে থেকে একটি ছবিকে সরকারি পোস্টারে স্থান দেওয়া হয়। এবছর কন্যাশ্রী দিবসের প্রাক্কালে সেখানে বালুরঘাটের দুই ছাত্রী জায়গা করে নিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া বইছে বালুরঘাট তথা জেলাজুড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন:
স্কুলের মাঠেই কয়েক মাস আগে তাদের ছবি তোলা হয়েছিল। ললিতার বাড়ি বালুরঘাটের পুলিশ লাইন এলাকায়। তার বাবা গোবিন্দ পাহান সামান্য রংমিস্ত্রির কাজ করেন। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই ললিতা নালন্দা বিদ্যাপীঠ স্কুলে পড়াশোনা করছে। ভবিষ্যতে তার আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা ছবিতে সাইকেলের পেছনে বসে আছে। তার বাড়ি কুমারগঞ্জের ফকিরগঞ্জ এলাকায়। তার বাবা-মা কেউ নেই। যার জেরে স্কুলের পাশেই নিবেদিতা হোমে থেকেপড়াশোনা করছে। বড় হয়ে তার ইচ্ছে নার্স হয়ে অসুস্থ মানুষদের সেবা করবে।
আরও পড়ুন: পুকুর খুঁড়তেই পাথরে আঘাত! বেরিয়ে এলেন ‘মোটা বাবা’! জাগ্রত বাবার জন্মদিনে জানুন বিশেষ কাহিনি!
নালন্দা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সৌমিত দাস বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কন্যাশ্রী দফতর থেকে স্কুলের গবেষণাগার সহ ছাত্রীদের একাধিক ছবি নেওয়া হয়েছিল। কন্যাশ্রী ক্যালেন্ডার সহ প্রকল্পের অধীনে একাধিক কাজে এই ছবি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সেটা কন্যাশ্রী দিবসের আগে এভাবে রাজ্যের ব্যানারে স্থান পাবে ভাবিনি। ২০১৩ সালে যখন কন্যাশ্রী শুরু হয়। তখনও এই স্কুলের এক মেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে উপহার নিয়েছিল। এবার দশম বর্ষে দুই ছাত্রীর ছবি স্থান পেল। এর চেয়ে খুশির খবর কিছু নেই।’
সুস্মিতা গোস্বামী