TRENDING:

Dakshin Dinajpur News: শোলা শিল্পে সঙ্কট, তবু পুজোর আগে দম ফেলার সময় নেই শিল্পীদের

Last Updated:

সোনা শিল্পের সঙ্কটের কারণে সমস্যায় পড়েছেন উত্তর দিনাজপুরের প্রতিমার গয়না তৈরির কারিগররা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর: আগমনীর ঘণ্টা বেজে গেছে বেশ কিছুদিন আগে। উৎসব প্রিয় বাঙালির মনে তাই এখন আনন্দের উচ্ছ্বাস। শুধুমাত্র প্রতিমা নির্মাণ, মণ্ডপসজ্জা নয়, শারদীয়ার অন্যতম আকর্ষণ দেবীর অলঙ্কার। তাই পুজো এসে গেলেই তাঁদের ব্যস্ততা তুঙ্গে ওঠে। শোলার সাজে দেবী মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন। সেই শোলার উৎপাদনেই ভাটা পড়েছে বিগত কয়েক বছর ধরে। এর ফলে শোলার জিনিসপত্র তৈরি করতে এক দিকে খরচ যতটা বেড়েছে সেই অনুপাতে দাম বাড়েনি শিল্পীদের তৈরি করা জিনিসপত্রের। ফলে আয় কিছুটা হলেও কমেছে শিল্পীদের।
advertisement

আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা রূপে সম্মান চার শ্রমজীবীকে

প্রতিমাকে অলঙ্কারে সুসজ্জিত করার জন্য প্রয়োজনীয় শোলার অলঙ্কারের অর্ডার এলেও অন্যবারের তুলনায় তা যথেষ্ট কম। তবে সেই অর্ডারগুলোই সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে এখন দিনরাত এক করে ফেলছেন কারিগরেরা।

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের আর্য সমিতি এলাকর শোলা শিল্পী দিলীপ মালাকার এবং তাঁর সহকারীরা মিলে এখন দিনরাত এক করে দেবী দুর্গার মূর্তি সাজানোর কাজ করে চলেছেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে তাঁদের হাতের জাদুতে তৈরি হওয়া শোলার অলঙ্কার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়। তাঁদের হাতের কাজে মুগ্ধ হয়ে পুজো উদ্যোক্তারা বারবার ফিরে আসেন তাদের কাছে। কাজ করে মনে আনন্দ পান, তাই লভ্যাংশ না দেখেই পুজো আসতেই কাজে মেতে উঠেছেন তাঁরা। নাওয়া খাওয়া ভুলে তৈরি করছেন দেবীর গয়না।

advertisement

View More

প্রতিমার মুকুট, গহনা, পোশাক থেকে ফুলঘর, কানের কলকা, আঁচল, হাতের বালা, পায়ের নুপুর চাঁদমালা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র অর্ডার নিয়ে তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা দিয়ে সেজে উঠবে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতীর গয়না। মূলত সারা বছর তেমনভাবে কাজ করতে না পারলেও পুজোর কয়েকটা দিন প্রতিমার শোলার বিভিন্ন অলঙ্কার তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। প্রতিমার সাজের দাম পড়ে ৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। সেই সঙ্গে ফুলঘর, চাঁদমালা, মালা সাইজ অনুপাতে দাম রয়েছে।

advertisement

শোলা শিল্পীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শোলা চাষের জন্য যে ধরনের জলাভূমির প্রয়োজন সেই ধরনের জলাভূমি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে ভিন জেলা থেকে শোলা নিয়ে আসতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে। অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে শোলা কেনার ফলে খরচের পরিমাণও বেড়ে গেছে দিগুনের থেকেও বেশি। পাশাপাশি শোলা শিল্পীদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পী ভাতা কিংবা কোন‌ও অর্থনৈতিক সাহায্য করলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে প্রথম অন্নকূট ও গোবর্ধন পুজো, গোলাপের পাপড়িতে মুড়ল মন্দির চত্বর
আরও দেখুন

সুস্মিতা গোস্বামী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
Dakshin Dinajpur News: শোলা শিল্পে সঙ্কট, তবু পুজোর আগে দম ফেলার সময় নেই শিল্পীদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল