দক্ষিণ দিনাজপুরের এই সচেতনতা শিবির আয়োজন করেছিল স্নেক অ্যান্ড অ্যানিম্যাল প্রোটেকশন সমিতি নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। সহযোগিতায় ছিল আলিপুরদুয়ার বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংস্থা। বর্ষাকালে যেহেতু সাপের থাকার গর্তগুলো জলে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় তারা বাইরে বেরিয়ে আসে এবং সেই কারণে সাপ পিটিয়ে মারার ঘটনাও বাড়ে, তাই এই সময়ই এই বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরসভার বিনামূল্যের কোচিংয়ে ভিড় বাড়ছে পড়ুয়াদের
বর্ষায় গ্রামীণ মানুষের মধ্যে সাপের আতঙ্ক তীব্র আকার ধারণ করে। তাছাড়া সাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক কুসংস্কারও আছে। সেগুলো মানুষের মধ্যে ভয়ের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। এই সচেতনতা শিবিরে সেই কুসংস্কারের বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে।
কোন সাপ বিষধর আর কোনটি বিষহীন, সাপে কাটলে কী কী সাবধানতা মেনে চলতে হবে সেই সমস্ত কিছুই বিশদে বিশেষজ্ঞরা এই শিবিরে আলোচনা করেন। সাপে কাটলে ওঝা, পীর, কবিরাজের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট না করে কাছাকাছি হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন আলিপুরদুয়ারের বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংস্থার সদস্যরা। তাঁরা জানান, সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে রোগীকে ১০০ মিলিলিটার এভিএস দিলে রোগীর আর কোনও বিপদ হবে না। গোখরো ও কেউটে সাপের ছোবল খেলে এর সঙ্গে নিওস্টিগমিন ও অ্যাট্রোপিন দিতে হবে, যা একমাত্র হাসপাতালেই সম্ভব। সেই সঙ্গে সাপে কাটা রোগীকে উদ্বেগ কমাতে সবসময় আশ্বস্ত করতে হবে বলে তাঁরা জানান।
সুস্মিতা গোস্বামী