আরও পড়ুন: দোকানে ঢুকে জোর করে টাকা আদায়ের চেষ্টা, বাধা পেয়ে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! গুরুতর জখম ২
পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে চাষের জমি শুকিয়ে ফেটে গিয়েছে। ফলে ধানের চারা রোপন করতে গিয়ে প্রচন্ড সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত টাকা খরচ করে জল কিনে সেচের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। তবে সেটা খুব কম কৃষকই পেরেছেন। বেশিরভাগ কৃষকের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তাঁরা এখনও চাষ শুরু করতে পারেননি। বৃষ্টির অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করে বসে আছেন।
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুরে গত বছর জুন মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ২৫৬.২ মিলিমিটার। কিন্তু এই বছর জুনে মাত্র ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত বছর জুলাইয়ে বৃষ্টি হয়েছিল ২৮২.২ মিলিমিটার। এই বছর জুলাই মাস শেষের দিকে চলে এলেও এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০২.৮ মিলিমিটার। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন জুলাইয়ে ৩৩০-৩৫০ মিলিমিটারের উপর বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক এই জেলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে। এই পরিস্থিতিতে গভীর দুশ্চিন্তায় ভুগছেন চাষিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অন্যান্য জায়গায় আমন চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে তাঁরা চাষ করতে পারছেন না। ফলে যত দেরি হবে তত ফলন কমবে।
সুস্মিতা গোস্বামী