কিছুদিন আগে পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে জল কিনে সেচের মাধ্যমে কিছু কৃষক ধান চাষ শুরু করলেও বেশিরভাগ কৃষকেরা তাদের চাষ বাস শুরু করতে পারছিলেন না অর্থনৈতিক কারণে। কিন্তু বর্তমানে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমিতে জল জমা হতেই খুশি কৃষক মহলে।
আরও পড়ুনঃ নীরবে হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালা! যাত্রা কার্যত শেষ বলে আক্ষেপ যাত্রা শিল্পীদের
advertisement
তবে, চারা রোপন পিছিয়ে যাওয়ায় চারা গাছের বয়স বেড়ে যাচ্ছে৷ দেরিতে রোপন হওয়ায় তত ফলনের পরিমাণ কমতে পারে৷ ফলে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় কৃষক, পাশাপাশি যেসব জমিতে এখনও পাট পচানো হয়নি সেই সব জমিতে আর চাষ হবে না বলে ধরে নিতে হচ্ছে। কৃষি দফতর সূত্রে, এবার ধান রোপণের মরশুম শুরু হলেও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ ধানচাষ মূলত বৃষ্টির জলনির্ভর।
আরও পড়ুনঃ পোষ্য ছাগলের জন্য পাতা পাড়তে গিয়ে সব শেষ! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত পড়ুয়া
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গত বছর জুন মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ২৫৬.২ মিলিমিটার, চলতি বছরে জুন মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৫২ মিলিমিটার।জুন মাসে জেলায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ৬০ শতাংশ। গত বছর জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ২৮২.২ মিলিমিটার। চলতি বছর জুলাই মাসে এখনও পর্যন্ত ২০২.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জুলাইয়ে সেই ঘাটতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ।
তবে, গত তিন-চারদিনে ভাল বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর তাতেই কৃষি অধিকর্তারা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রায় মিটে গিয়েছে৷
সুস্মিতা গোস্বামী