প্রসঙ্গত, মাটি দিয়ে মন্ডপের মাঝেই তৈরি করা হয়েছে শিবের বিশাল মূর্তি। যার ত্রিনয়নের মধ্য দিয়ে দুর্গা প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। মণ্ডপের ভেতরে বেলে মাটি, লাল মাটি-সহ একাধিক মাটি দিয়ে কারুকার্য করা হচ্ছে। এমনকী গঙ্গার মাটি বিশেষ নজর কাড়বে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি।
কিছুক্ষণের জন্য সকলেই সিমেন্ট কংক্রিটের দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে মাটির গন্ধ মাখা পুজোর অনুভূতি পাবেন।মণ্ডপ মৃৎশিল্পী পাপাই পাল প্রতিমা তৈরীর কাজে কোমর বেঁধে নেমেছেন। এই বছর পুজোর বিশেষ আকর্ষণ থাকবে ৫০ ফিট উচ্চতার ভুটান গেট। যা আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন দিলীপ মিত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি সারায়, হার্টের অসুখ থেকে বদহজম দূর করে! কারিপাতার গুণ জানলে অবাক হবেন
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে এই ক্লাব স্থাপিত হয়। তারপরেই প্রতি বছর দুর্গা পুজোর নতুনত্বের চমক দিয়ে আসছে ক্লাবটি। তাই বালুরঘাট থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের পুজোর কটা দিন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে এই পুজো। যা এবছর ৫৮ তম বছরে পড়েছে। মণ্ডপ শিল্পী নেপাল দাস ক্লাব সদস্যদের সহযোগিতায় মাটিকে বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার ভাবনা নিয়ে এসেছেন।
ক্লাব সম্পাদক সুমন মন্ডল বলেন, “মাটি আমাদের জীবনের আধার। কিন্তু তাকেই ভুলতে বসেছি আমরা। তাই সেই মন্ত্রকেই আবার সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমাদের এই উদ্যোগ।”
ক্লাব সভাপতি রঞ্জিত সরকারের মতে, “শারদ উৎসবে বিশাল বাজেটের দৌড়ে শামিল না হয়ে মাত্র ৮ লক্ষ টাকা বাজেটে পুজো হচ্ছে। যেখানে মাটির সোঁদা গন্ধ মাখবেন দর্শনার্থীরা।”
শহরে এখন মাটির বাড়ি পাওয়া দুষ্কর। তার পরিবর্তে চোখ ফেরালেই নজরে পড়বে বহুতল আবাসন। মাটির রাস্তা এখন দুর্ভোগের কারণ। সেখানে দখল নিয়েছে সিমেন্ট- পাথর।
পুজো সম্পাদক সুব্রত ঘোষের কথায়, “গতবার তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা থিম ছিল। বাঁশ দিয়েই প্রতিমা থেকে শুরু করে মন্ডপ ছিল। এবারও পরিবেশ বান্ধব উপায়ে ‘মাটির সুতা’ থিম করা হচ্ছে। তার সঙ্গে প্রায় ২০ ফিট উঁচু সাবেকি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে।”
সিমেন্ট কংক্রিটের তলায় চাপা পড়েছে মাটির অনেক অজানা গল্প। বাঁশ ও কাপড়ের সঙ্গে সেগুলি এবার ছুঁয়ে দেখা যাবে ত্রিধারা ক্লাবে।
সুস্মিতা গোস্বামী