শতাব্দীর প্রাচীন হলেও এই পুজোকে কেন্দ্র করে জেলাবাসির মনে অফুরন্তু বিশ্বাস রয়েছে। প্রসঙ্গত, শতাব্দীর প্রাচীন পুজো হলেও এই পুজোর সঠিক বয়স কত তা কেউ বলতে পারে না। এক সময় আত্রেয়ী নদীর ধারে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালী মাতার বিগ্রহ বা শিলা খন্ড। এক তান্ত্রিক সেই সময় নাকি ওই বিগ্রহকে তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন। তার পর থেকেই নাকি এই পুজো শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘হবু বউকে কন্ট্রোলে রেখো’, সৌম্যকে উপদেশ সৌরভের, শুনে কী বললেন সন্দীপ্তা?
উল্লেখ্য, এবছর মায়ের নতুন মুখমণ্ডল তৈরি করে পড়ানো হয়েছে। এই মুখমন্ডল তৈরি করতে প্রায় ১কেজি ৫০০ গ্রাম সোনা লেগেছে। যা পড়ানো হয়েছে বিশেষ রীতিতে। মায়ের এই নতুন মুখমণ্ডল দর্শন করতে রবিবার সকাল থেকেই প্রচুর ভক্তের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বুড়া কালী মায়ের মন্দির প্রাঙ্গনে। প্রথম অবস্থায় টিনের ঘেরা দিয়ে বুড়া কালী মাতার পুজো শুরু হলেও, বর্তমানে বিশাল আকার মন্দিরের পুজিত হন বুড়া কালী মাতা। পুজোর দিন মায়ের মূর্তিতে সারা গায়ে সোনার অলঙ্কারে সুসজ্জিত থাকে। পুজোকে ঘিরে পুজোর দিন কয়েক হাজার ভক্তগনের সমাগম হয় পুজো প্রাঙ্গনে। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায়, মায়ের পুরনো মুখমন্ডল পরিবর্তে নতুন মুখমন্ডল তৈরি করা হয়েছে। যা তৈরি করতে প্রায় দেড় কেজি ওজনের সোনা ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নায়ক না নায়িকা? ফ্রক পরা এই খুদে বিখ্যাত পরিবারের সন্তান! কাঁপাচ্ছে টলিউডও, বলুন তো কে এই তারকা?
সোনা-রুপো সহ অন্যান্য ধাতু দিয়ে তৈরি পুরনো মুখমন্ডলের পরিবর্তন করে এ বছরে পুজোতে এই নতুন মুখমন্ডল জনসমক্ষে আনা হয়েছে। আর এই মুখমন্ডল দেখতে এদিন সকাল থেকেই বালুরঘাট শহরসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে মন্দির প্রাঙ্গণে।তবে জনশ্রুতি আছে, আগে নাকি ২০ কিলো ওজনের শোল মাছ বলি দেওয়া হত।এই পুজোকে ঘিরে শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরনয় পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর ও মালদা, শিলিগুড়ি থেকেও প্রচুর ভক্ত বা দর্শনার্থী আসে।
সুস্মিতা গোস্বামী