পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রীর বয়স সবে ১৮ বছর। বাবা কৃষক। উচ্চ মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা করেন নি। কৃষক পরিবারের হলেও আদিবাসী সমাজের নিয়মে নিমন্ত্রিত করা হয়েছিল প্রায় এক হাজার মানুষকে। অনেক কষ্টেই খাওয়ারের এলাহি আয়োজন করেছিল পাত্রীর পরিবার। সন্ধ্যাবেলায় বিয়েবাড়িতে তখন বাজছে ডিজে ও ব্যান্ড পার্টি। সেসসময়ে অনেকেই এসে গিয়েছেন বিয়ে বাড়িতে ৷ খাওয়াদাওয়া শুরু হয়েছে। এদিকে বরযাত্রীও হাজির। বরযাত্রীর গাড়ি থেকে নামছে পাত্র। ঠিক তখনই ঘটে এই ঘটনা।
advertisement
এ বিষয়ে পাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, ‘‘অন্য কোনও ছেলের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে। সে কথা কাউকে জানায় নি মেয়ে। প্রথমদিকে বিয়েতে আপত্তি করলেও পরে আর আপত্তি জানায়নি। কিন্তু শেষপর্যন্ত কেন যে পালিয়ে গেল, তা আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। কোন ছেলের সঙ্গে গিয়েছে, তা আমরা জানি না। রাত থেকে আর কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে।’’
ওই তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের প্রেম ছিল। কিন্তু বাড়িতে ওই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়নি। আদিবাসী পরিবারের ওই তরুণীর সঙ্গে তপন ব্লকের এক যুবকের সম্প্রতি বিয়ে ঠিক করা হয়। বিয়ে হয়ে যাচ্ছে প্রেমিকার। তাই মন খারাপ নিয়ে বাড়ির কাছেই এসেছিলেন প্রেমিক। কোনওভাবে যোগাযোগ করে প্রেমিকার সঙ্গে। এরপরেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেয় পালিয়ে যাওয়ার। পাত্রকে স্বাগত জানানোর জন্য নিয়ম রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন বাড়ির সকলে। সেই সুযোগেই ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা প্রেমিকের সঙ্গে উধাও। কিন্তু কীভাবে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে বাড়ি থেকে ওরা বেরিয়ে গেল তা বুঝতেই পারছে না বাড়ির সদস্যরা। বাড়ির পিছন দিয়েই ওই তরুণী পালিয়ে যান বলে অনুমান পরিবারের। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই অবশ্য খাওয়া দাওয়া সেরেই বাড়ি ফেরেন। এদিকে বিয়ের আসরে বর প্রস্তুত থাকলেও পাত্রী নেই। বাধ্য হয়ে মন খারাপ নিয়ে চলে যেতে হয় পাত্রপক্ষকে।
অন্যদিকে এমন ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি রাতেই বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি পাত্রীর। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।