জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শেষ দু’রাত পর্যন্ত ১৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে গঙ্গারামপুর মহকুমা এলাকায়। বালুরঘাট মহকুমা এলাকা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম। এর পরেই বাড়তে থাকে নদীর জলস্তর, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গঙ্গারামপুর মহকুমায় বেশি। অবশ্য জেলাশাসক দাবি করেছেন, দ্রুত সেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শনে যান এবং দ্রুত সারাইয়ের নির্দেশ দেন। বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধ বসে যাওয়া এবং বাঁধ ভেঙে নীচ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ মেরামতের জন্য কাউকে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।এমনকী সারা বছর বাঁধের যে রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রয়োজন সে বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দফতর কিছুই করেনি। প্রতি বছরই নদীতে জল বাড়লে একই সমস্যা দেখা যায়। জল বাড়লেই যখন বাঁধের পরিস্থিতি খারাপ হয় তখনই এসে বাঁধ সরানোর চেষ্টা করেন আধিকারিকরা। বিগত ২৪ ঘন্টায় যা বৃষ্টিপাত হয়েছে এই বৃষ্টিপাত সাধারণ বৃষ্টিপাতের তুলনায় তিনগুণ বেশি।জেলায় বিগত তিন দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বাজ পড়ে। দু’জন বংশিহারির বাসিন্দা, একজন কুশমণ্ডির। ১৫০০ মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গঙ্গারামপুরের হোসেনপুর এলাকায় পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চাষের জমি জলের তলায়।
সুস্মিতা গোস্বামী