সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন যে, আরও বেশি করে স্কুল শিক্ষকদের টিকা দেওয়ার দরকার। কারণ তাঁরা সরাসরি শিশুদের (Children Vaccination) সংস্পর্ষে আসতে চলেছেন স্কুল খুললে৷ তিনি আরও জানান যে করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে থাকলেই শিশুদের স্কুলে পাঠানো যেতে পারে। নাকের মাধ্যমে যে ভ্যাকসিন তা শিশুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সহজ হবে। এছাড়াও, এটি শ্বাসনালীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে৷
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকার শনিবার জানায় যে, শিশুরা সংক্রমণ থেকে নিরাপদ নয়৷ তবে এই মুহুর্তে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্ব ও দেশের পরিসংখ্যানের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, কেবলমাত্র ৩-৪ শতাংশ শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নিতি আইয়োগের সদস্য ডাঃ ভি কে পল বলেছেন, 'বাচ্চারা যদি কোভিড আক্রান্ত হয় তবে কোনও লক্ষণও দেখা যায়, তাদের সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয় না। তবে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সীদের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া দরকার প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন COVID19 Vaccine: দু’বার দুরকম ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া সম্ভব? যা জানানো হচ্ছে...
ইতিমধ্যেই মার্কিন ফুড অ্যাড ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশন শিশুদের উপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষার ছাড়পত্র দিয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনও মিলবে কিছুদিনের অপেক্ষায়৷ ফাইজার-বায়নটেক, মোডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, সব সংস্থাই ট্রায়াল শুরু করেছে৷
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছে৷ এই ভ্যাকসিনের নাকের মাধ্যমে নিতে হবে৷ সংস্থাটির মতে, মাত্র ৪ ফোঁটা নেস্যাল স্প্রে লাগবে। দুটি করে ড্রপ দুটি নাকে দেওয়া হবে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের রেজিস্ট্রি অনুসারে, তিনটি দলে বিভক্ত ১৭৫ জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রুপে ৭০ জন এবং তৃতীয় গ্রুপে ৩৫ জন রয়েছেন। এর রিপোর্ট যদিও এখনও আসেনি৷