পথচারী সত্যব্রত রায় বলেন, "প্রত্যেকটা দলের সচেতন থাকা উচিৎ ছিল আগে থেকে। আমরা তো সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরি। একটা দল বলে নয়, প্রত্যেকটা দলেরই পতাকা ব্যানার চারদিকে টাঙানো আছে। বহু জায়গায় দড়ি ছিঁড়ে পড়ে আছে রাস্তায়। এই ছেঁড়া দড়ি গাড়িতে আটকে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্কুল বাচ্চাদের সাইকেলের হ্যান্ডেলে পতাকার দড়ি জড়িয়ে গিয়ে বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলোর ব্যাপারে সমস্ত দলের সচেতন থাকা উচিৎ ছিল। কেন তারা এখনও সচেতন নয় জানিনা।" তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, দলের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর, খড়গপুর পৌরসভা ও দলের যারা সভাপতি আছেন তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পৌরসভা এলাকায় যেখানে যেখানে দেওয়াল লিখন হয়েছিল, সেগুলো আবার চুনকাম করে দেওয়ার জন্য এবং ফ্লেক্স, ব্যানার, পোস্টার খুলে নেওয়ার জন্য। দৃশ্য দূষণের হাত থেকে ও শহরের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য অতি শীঘ্রই এই কাজটা যাতে করে দেয়া হবে।
advertisement
খড়গপুর শহর বিজেপির সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক তুষার মুখার্জি বলেন, "এটা জনপ্রতিনিধিদের কাজ খড়গপুর শহরকে পরিষ্কার রাখা। যে সমস্ত ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি বিজয় হয়েছেন তাদের উদ্যোগ নিয়ে ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন খুলে দেওয়া উচিৎ। যে রাজনৈতিক দলের হোক না কেন ফ্ল্যাগ যখন মাটিতে পড়ে ও রাস্তায় লুটায় তখন আমাদের দেখতে খুব খারাপ লাগে। আমাদের দলের কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওরা দু'তিনটে ওয়ার্ডে খুলে দিয়েছে। বাকি যারা আছে তারাও যেন খড়গপুর কে সুন্দর ও পরিষ্কার রাখার জন্য উদ্যোগ নেয়। খড়্গপুর মহকুমা শাসক আজমল হোসেনের (কোড) ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবার পর আমরা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে জানিয়ে দিয়েছি। খড়গপুর শহরকে সুন্দর রাখার জন্য তারা যেন নিজেদের পোস্টার ব্যানার সমস্ত কিছু খুলে নেয়।"