এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ‘একদম ভেবেচিন্তে প্রত্যক্ষ অবস্থার প্রেক্ষিতে বলছি, যখন সারা পৃথিবী এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তখন খেলাধুলোর এখানে ভবিষ্যত কোথায় ৷ ’এদিকে আইপিএল প্রথমে-র ২৯ মার্চের ডেডলাইন মিস করেছে৷ বোর্ড জানিয়েছিল ১৪ এপ্রিলের পর যা হওয়ার সিদ্ধান্ত হবে ৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ৩ মে অবধি স্থগিত হয়ে গেল মিলিয়ন ডলার এই টুর্নামেন্ট ৷
advertisement
এর আগে সোমবারই কথা হয়েছিল অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাচ্ছে আইপিএল? আইপিএল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছিল বিসিসিআই। সোমবার বোর্ডের তরফে আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে ঠিক ছিল। লকডাউনের ফলে প্রেসিডেন্ট সৌরভ, সচিব জয় শাহ সহ বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা টেলিফোনে কনফারেন্স কলের মাধ্যমে এ বৈঠকে বসছেন।
নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএল। কিন্তু ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে থাকায় গত মাসেই ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিলের পর আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল বিসিসিআইয়ের। বোর্ড কর্তারা ভেবেছিলাম লকডাউনটা উঠে গেলে ছোট আকারে প্রয়োজনে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে আইপিএল আয়োজন করবেন। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত ঘোষণা করবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর খবর। ফলে এই অবস্থায় কোনভাবেই ১৫ এপ্রিলের পর আইপিএল সম্ভব হচ্ছে না। করোনা প্রভাব এতটাই প্রকট যে এপ্রিলের শেষে লকডাউন সম্পূর্ণ উঠবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত লকডাউন চলতে পারে। এমনকি বর্তমান পরিস্থিতি যা তাতে লকডাউন উঠলেও সঙ্গে সঙ্গে আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব নয় তা এক প্রকার নিশ্চিত।
ফলে আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কর্তারা বিরাট সমস্যায় পড়েছেন। আইপিএল না হলে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, ফ্র্যাঞ্চাইজি, টিভি সম্প্রচারকারী সংস্থাকে। আর যেহেতু আইপিএলের কোনও ইনস্যুরেন্স অর্থাৎ বীমা নেই, সেই কারণে আইপিএল বাতিল ঘোষণা করতে পারছেন না বোর্ড কর্তারা। বিদেশি টুর্নামেন্টের মত বীমা থাকলে আইপিএল এক বছর বাতিল হলেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া যেত। কিন্তু আইপিএলের জন্য বীমা করানো নেই। তাই বিরাট ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বিসিসিআই কর্তারা আইপিএল আয়োজন নিয়ে এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলো মুক্ত হওয়ার পরই ক্রিকেট কিংবা আইপিএল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে সব ঠিক হতে। বোর্ড কর্তাদের হাতে একমাত্র বিকল্প সময় হিসেবে রয়েছে অক্টোবর-নভেম্বর মাস। যদি সেই সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় বাতিল হয় তাহলে একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আইসিসি আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়নি। বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক আছে ১৮ অক্টোবর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা। তবে করোনা প্রভাব থেকে বাঁচতে অস্ট্রেলিয়া সরকার ছয় মাসের জন্য বিদেশি কোনও ব্যক্তিকে সে দেশে ঢুকতে দেবে না বলে ঘোষণা করেছে। যে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথার সেপ্টেম্বর শেষে। তারপর দিন ১৫-১৬ দিন বিশ্বকাপ আয়োজনে সময় পাবে আইসিসি।
আইসিসি যদি টুর্নামেন্ট বাতিল করে। তাহলে সেই উইন্ডোয় নতুন ফর্ম্যাটে আইপিএল আয়োজনের ভাবনা রয়েছে বোর্ড কর্তাদের। সে ক্ষেত্রে ২০২২-এ অস্ট্রেলিয়ায় হতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কারণ ২০২১-এ ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন হওয়ার কথা।
