ইতিমধ্যেই চারহাজার মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন চাল, ডাল, আলু, মশলা। উত্তর কলকাতা জুড়ে একের পর এক বস্তিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিশ্বরূপ দে। শুধু জরুরী সামগ্রী তুলে দেওয়াই নয়, রান্না করা খাবারও পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায় মানুষদের হাতে। নিজের অনাথ আশ্রমের রান্নাঘরে রোজ কয়েক শো মানুষের জন্য রান্না হচ্ছে। শুধু প্রান্তিক মানুষদের সাহায্য করাই নয়, রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানোর দায়িত্বও নিয়েছেন সিএবির প্রাক্তন কর্তা।
advertisement
লকডাউনের জেরে খাবারের সব দোকানপাট বন্ধ। তাই রাস্তার কুকুর, বিড়াল সেভাবে খাওয়ার জোগাড় করতে পারছে না। তাই তিনি নিজের উদ্যোগে এবং কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় রাস্তার কুকুর, বিড়ালের প্রত্যেকদিনের খাওয়ার জোগাড় করে দিচ্ছেন। বিশ্বরূপ দে জানান, ‘কঠিন সময় অসহায় মানুষদের যেমন সাহায্যের প্রয়োজন, তেমনই পশু,পাখিদেরও খাওয়ার প্রয়োজন। তাদের খাওয়ার দেওয়ার বেশি লোক নেই। আমি চেষ্টা করছি অলিগলিতে গিয়ে কুকুর, বিড়ালের খাবার দিয়ে আসতে।’
প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিচ্ছেন না বিশ্বরূপ দে। এই ব্যাপারে তিনি জানান, ‘সমাজের প্রচুর মানুষ সরকারি ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিচ্ছেন। তবে আমি চাই নিজের হাতে প্রত্যেক মানুষকে সাহায্য করতে। আমি জানি আমার অঞ্চলের আশেপাশে প্রচুর বস্তি অঞ্চল রয়েছে। সেই মানুষগুলোকে হাতে হাতে খাওয়ার দিয়ে সাহায্য করলে বেশি ভালো হয়।’
কলকাতার অসহায় মানুষদের সাহায্য করার পাশাপাশি জেলায় খোঁজখবর নিয়ে ত্রাণ পাঠাচ্ছেন পেশায় আইনজীবী বিশ্বরূপ দে। অনেক জায়গায় চাল,ডাল পৌঁছলেও তেল-মশলা মেলেনি। সেই মানুষদের প্রয়োজন অনুযায়ী সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছেন তিনি। গাড়ি করে খাবার পাঠানো হচ্ছে। নিজের প্রিয় জায়গা কলকাতা ময়দানের মালীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। সিএবি, ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান–সহ সব ক্লাবের মালীদের জরুরী সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। আর এখন আরও কয়েক হাজার মানুষকে সাহায্যের জন্য তৈরি হচ্ছেন বিশ্বরূপ দে।
ERON ROY BURMAN
