খেলার মাঠের বাইরেও সারাবছর জুড়েই থাকে ওদের নানা কর্মকাণ্ড। ময়দানে কেউ অসুস্থ? সমস্যায় পড়েছেন কেউ? রং না দেখে পাশে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল রিয়েল পাওয়ার। দেশজুড়ে করোনা বিপর্যয়ের সময়ও খেলার মাঠের চৌহদ্দির বাইরে এসে মানবিক ইবিআরপি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে চারদিনের উদ্যোগে তুলে ফেলেছে প্রায় এক লক্ষ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ভাগাভাগি করে ভাগ করে দেয়া হয়েছে সেই অর্থ। এখানেই থেমে থাকা নয়! নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় অসহায় পরিবারগুলোর হাতেও সাহায্য তুলে দেওয়ার নজির তৈরি করেছে ইবিআরপি। নৈহাটি, হালিশহরে ১০০ পরিবারের দু'বেলার খাদ্যের সংস্থান করছে ময়দানের অতি পরিচিত এই ফ্যানস ক্লাব।
advertisement
ফ্যানস ফোরামের পক্ষ থেকে রবিশঙ্কর সেন বলছিলেন,"আমাদের প্রথম প্রেম খেলার মাঠ। লাল-হলুদ রংয়ের বাইরে আমরা কিছু বুঝি না। কিন্তু এই সময়টা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তাই ভাবনাটা মাথায় আসার পর দ্বিতীয় বার ভাবিনি।"
কলকাতায় বাইরে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল রিয়েল পাওয়ারের সদস্যরা। সদস্য সংখ্যা দেড় লক্ষের ওপরে। সিঙ্গাপুর, আমস্টারডাম, ক্যালিফোর্নিয়া। নাম বলতে শুরু করলে শেষ করা যাবে না।
বিশ্বব্যাপী করোনা বিপর্যয়ের সময়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পাশে থাকার আবেদন জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাই সাড়া মিলেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই। আর এখানেই সার্থকতা ইবিআরপি-র। শুধু ইস্টবেঙ্গল নয় ইবিআরপি এখন গোটা সমাজের রিয়েল পাওয়ার।
PARADIP GHOSH