সৌমিক কিংবা সুমন। দুজনেই নীরবে দরিদ্র মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নদিয়ার গয়েশপুরের সুমন এই কাজে পাশে পেয়েছেন কল্যাণীর উঠতি ফুটবলার থেকে ক্রীড়াপ্রেমী মানুষদের। সুমনের মানবিক উদ্যোগে সামিল হয়েছেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, আইএসএল খেলা ফুটবলাররাও। নিজেদের মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সুমনের প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়িত করেছেন ওরা সবাই। দিনের শেষে সুমন দত্ত বলছিলেন,"লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই মানুষের পাশে রয়েছি। আমার বাড়িতেই ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট তৈরি হচ্ছে। খবর পেয়ে অনেকে বাড়ি এসে সাহায্য নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কোদিন টোটো বা বন্ধুর স্কুটিতে চেপে আমরাই পৌঁছে যাচ্ছি কল্যাণী, গয়েশপুর, সগুনা, কাঁচরাপাড়ার মত জায়গাগুলোতে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে পৌঁছে দিচ্ছি ত্রাণসামগ্রী।"
advertisement
অন্যদিকে সৌমিক আবার পাশে পেয়েছেন স্থানীয় মানুষজন ও ক্লাবকে। হিন্দমোটর এলাকায় এমনিতেই দারুণ জনপ্রিয় সৌমিক। স্থানীয় নবারুণ সমিতি ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সৌমিক। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলছিলেন," খেলোয়াড় জীবনে এই মানুষগুলোর থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। ময়দানে বড় ক্লাবে খেলার সময়ে ওরা ভালোবাসায় ভরে দিয়েছে আমাকে। এই কঠিন সময়ে ওদের পাশে না থাকলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে।"লকডাউনের কঠিন সময়ে নিজেদের উদ্যোগে এভাবেই ময়দানের মানবিক মুখ হয়ে উঠেছেন দুই বড় ক্লাবের দুই প্রাক্তনী সুমন দত্ত ও সৌমিক দে।
লাল-হলুদের ফ্যানস ক্লাব ইস্টবেঙ্গল রিয়াল পাওয়ারও নিজেদের মতো করে সাহায্য হাত বাড়িয়ে পাশে থাকছেন অসহায় মানুষদের। ময়দানের অতি পরিচিত লজেন্স দিদি যমুনা দাস ও প্রয়াত ফুটবল প্রেমী কার্তিক দাসের পরিবারের কাছে ইতিমধ্যেই সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল রিয়াল পাওয়ার।
PARADIP GHOSH
