করোনা মানুষকে অনেক নতুন জিনিস শিখিয়েছে। যে সব বিষয় নিয়ে মানুষ কখনও ভাবেইনি, এমন বহু কাজ নিয়ে ভাবতে শিখিয়েছে। অনেক কাজের নতুন পদ্ধতি শিখিয়েছে। বিয়ে থেকে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হচ্ছে ভিডিও কলের মাধ্যমে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, মাস কয়েক আগে পর্যন্ত বিদেশে অনলাইনে পড়াশুনার রীতি প্রচলিত থাকলে ভারতবর্ষে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা একেবারেই প্রচলিত ছিল না। কিন্তু করোনা আসার পরে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই এখন শিক্ষার মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন ক্লাস।
advertisement
অন্যদিকে, বিয়ে বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে লকডাউনের কারণে যারা উপস্থিত থাকতে পারছেন না, তাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানের সাক্ষী রাখা হচ্ছে অনলাইনে। গায়ে হলুদ থেকে মালাবদল, সিঁদুরদাঁ সবই ফোন বা ল্যাপটপের সামনে বসে চাক্ষুষ করতে পারছেন তাঁরা।
কিন্তু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। ফলে খুব তাড়াতাড়ি মানুষ আবার একত্রিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা আমাদের সঙ্গী হয়েই থেকে যাবে। তাই মাস্ক পরা যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। কিন্তু সামাজিক অনুষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব? এবার সেটাই করে দেখিয়েছে একদল তরুণ-তরুণী। পেইন্ট রোলারের সাহায্যে হয়েছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। সামাজিক দূরত্ব মেনে একেবারে অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহারে গায়ে হলুদের এই অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রসিদ্ধ হোটেলিয়র হরজিন্দর সিং কুকরেজা। নিমেষে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
মাত্র ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একেবারে মাঝখানে সালওয়ার কামিজ, গয়নায় সেজে বসে রয়েছেন হবু কনে। পাশেই রাখা হলুদের ট্রে। সেখান থেকেই লম্বা হাতল লাগান একাধিক পেইন্ট রোলারের সাহায্যে কনেকে হলুদে রাঙিয়ে দিচ্ছেন সকলে মিলে। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি কনের বন্ধুদের উপস্থিতি সেখানে লক্ষ করা যাচ্ছে। সকলেই মহানন্দে উপভোগ করছেন অনুষ্ঠান, তবে সামাজিক দূরত্ব মেনে। ভিডিওটি পোস্ট করার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ সেটি দেখেছেন। অনেকেই পরিবারে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
