তবে এই বিরল প্রজাতির তক্ষকটি কীভাবে সেই বাড়িতে এল তা জানতে পারা যায়নি। তবে বাড়ির মালিক কমল কুমার দত্ত জানান, "প্রায় দুই থেকে তিন দিন এই প্রাণীটিকে বাড়িতে লক্ষ করছিলেন তাঁরা। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই প্রাণীটিকে বড় মাপের টিকটিকি মনে করেছিলেন বাড়ির সকলে। তবে যখন জানতে পারেন এটি একটি বিরল প্রজাতির তক্ষক, তখন তাঁরা একটি প্রাণী উদ্ধারকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং সেই সংস্থার সদস্যরা এসে ওই বিরল প্রজাতির প্রাণীটিকে উদ্ধার করে বন দফতরের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।"
advertisement
তবে উদ্ধার হওয়া তক্ষকটি হল একটি মাঝারি আকারের গ্রীষ্মপ্রবণ এলাকার প্রাণী। এটি মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং সমস্ত সংলগ্ন দ্বীপগুলিতে বাস করে। এই প্রাণী গুলি মানুষের আশেপাশে থাকতে বিন্দুমাত্র ভয় পায় না। এবং সাধারণত মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি এবং ভিতরেও বসবাস করতে দেখা যায় এদের।
প্রচলিত অন্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসায় হাঁপানি, এইডস, ক্যানসার-সহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে এই প্রাণীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ, মূলত এই কারণেই এই প্রাণীটিকে প্রচুর পরিমাণে পাচারকারীদের শিকারে পরিণত হচ্ছে।