যুবতীর বয়ান অনুযায়ী, "এলাকারই তিন যুবক ওই যুবতীকে অপহরণ করে এবং অপহরণ করার পর ওই যুবতীর ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার। দফায় দফায় গণ ধর্ষণ। তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের হাতে উদ্ধার হয় যুবতী।"
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের আগে চিন্তিত পড়ুয়ারা, পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল কৃতী ছাত্রীর দেওয়া জরুরি টিপস
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে অপরিচিত এক যুবতীর চিৎকারের আওয়াজ শুনে এগিয়ে আসে স্থানীয় মানুষেরা। যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারা যায় গোটা ঘটনা। যুবতী জানায়, এলাকার বাসিন্দা মহাদেব ধর-সহ আরও দুই যুবক মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে আসে এলাকায়। এরপর মহাদেবের বাড়িতে আটকে রেখে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় যুবতীর পরিবারের কাছে। এরপরই মহাদেব-সহ তিন যুবক রাতভর দফায় দফায় ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ যুবতীর। এমনকি সে যাতে পালাতে না পারে তার জন্য অভিযুক্তরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই মহিলার বাড়ি নদিয়ায়। মহিলার কাছে পুরো বিষয় জানার পর স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হয় সেই যুবকের বাড়িতে। মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তৎক্ষণায় পালিয়ে যায় যুবক। যদিও পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায় এক অভিযুক্ত। ধৃত যুবকের বাড়ি শিলিগুড়িতে বলে জানা গিয়েছে। তাকে গণপ্রহার করে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন উত্তেজিত জনতা।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের নামে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে। অভিযুক্তেরা দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরেই নানারকম অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। ওই যুবতীকে মেডিক্যালের জন্য পাঠানো হয়েছে কোচবিহার মহারাজা জীতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই যুবকের বাড়ি শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকায়। তাকে জেরা করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
Sarthak Pandit