সুরবালা মণ্ডল জানান, "এই বয়সে এসেও তার দোকান করতে কোন ক্লান্তি বোধ হয় না। বরং ভালই লাগে। সন্ধ্যে হলে প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় তার দোকানে। নিজে হাতে সিঙ্গাড়া বানিয়ে ভেজে দেন তিনি। সেই সিঙ্গাড়া খেয়ে যখন সকলে তার প্রশংসা করে তা শুনতে বেশ ভাল লাগে তাঁর। যতদিন পর্যন্ত পারবেন এই ভাবেই দোকান করে যাবেন।" এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা রূপক মণ্ডল বলেন, "এই বয়সে এসেও পাড়ার দিদা যে দোকান করছে সেটা দেখে বড়ই ভাল লাগে। এছাড়া সব চাইতে আকর্ষণের বিষয় হল দিদার হাতের তৈরি সিঙ্গাড়া। দাম মাত্র আড়াই টাকা তবে স্বাদ অপূর্ব। আমরা তো রোজ এসে এখানে সিঙ্গাড়া খেয়ে থাকি।"
advertisement
আরও পড়ুন: বাজারের থেকে হাফ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা! এত সস্তা! বকখালিতে হচ্ছে টা কী? জানুন
৮০ বছর বয়সে এসেও সুরবালা মণ্ডল যে ফাস্ট ফুডের দোকান করেই সকলের মন জয় করে নিয়েছেন সেটা বলতে কোন দ্বিধা নেই। তবে শুধু মাত্র তুফানগঞ্জ মহকুমা এলাকায় নয়। গোটা কোচবিহার বর্তমানে এই সিঙ্গাড়া দিদার কথা জেনে গিয়েছে। তাই মাঝে মধ্যেই প্রচুর মানুষ শুধুমাত্র সিঙ্গাড়া খেতে আসছেন দূর থেকে তার দোকানে। তবে এটি বিষয়ে তিনি কিন্তু অসন্তোষ প্রকাশ করেন না। উল্টে তার মুখে থাকে বৃদ্ধ বয়সের ছাপ যুক্ত একটা চওড়া হাসি। সকলের সঙ্গেই হাসি মুখে কথা বলতে বলতে কাজ করে চলেছেন তিনি। অনেকে আবার তাকে জিজ্ঞেস করেন দিদা এতটা বয়সে এসে তোমার এই দোকান করতে ইচ্ছে কেন করে। তার উত্তরে তিনি হাসি মুখে খালি একটা উত্তর দেন। যদি কাজ না করে ঘরে বসে থাকি তবে শরীর আরও বেশি খারাপ হয়ে পড়বে। হয়ত আর বেশিদিন বাঁচব না।
Sarthak Pandit