টানা ৫-৬ দিন লেভেল ক্রসিং বন্ধ থাকার ফলে এদিক থেকে ওদিক যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যেখানে এই ঘটনাটা ঘটেছে সেই হরিণচওড়া এলাকা কোচবিহার সদর শহরের কাছেই অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, "এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। কোচবিহার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যাওয়ার রাস্তা এটাই। কিন্তু রেলের লেভেল ক্রসিং টানা বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদেরও যাতায়াত করতে প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: মৃত্যুর তিন মাস পরেও মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেট! প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসহায় পরিবার
কেন এইভাবে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট টানা বন্ধ রাখা হচ্ছে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি সেখানের কর্তব্যরত রেলকর্মীরাও। ফলে সমগ্র বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে যথেষ্ট ধোঁয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এই লেভেল ক্রসিং এর গেট টানা বন্ধ থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং বলেন, "দুই ধরনের রেল ক্রসিংয়ের গেট হয়। এক ধরনের গেট সারাদিন খোলা থাকে, ট্রেন যাতায়াতের সময়টুকু কেবলমাত্র গেট বন্ধ করা হয়। আরেকটি হয় ক্লোজ টু রোড ট্রাফিক গেট। যেখানে গেট সবসময় বন্ধ থাকার কথা। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন যাওয়ার প্রযোজন হলে তবেই গেট খোলা হবে। হরিণচওড়ার যেই গেট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে সেটি ক্লোজ টু রোড ট্রাফিক গেট। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে সেই গেটকে।" পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে আগামীদিনে এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ডিআরএম।
এই বিষয়ে কোচবিহার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রবাল দেব বলেন, "রেলগেটটি বন্ধ থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে। যখন ট্রেন আসবে তখন গেট বন্ধ রাখুক। সারাদিন বন্ধ রাখলে পড়ুয়াদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সকলকেই অনেকটা ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও ওই রেলগেট বন্ধ থাকায় আরও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিনহাটা-কোচবিহার যে বড় রাস্তা রয়েছে, সেখানে যানজট হলে অনেকে সময় বাঁচাতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন অনেকে, সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।"
সার্থক পণ্ডিত






