আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন তিনি। এর পাশাপাশি দল পরিচালনা নিয়েও ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। রীতিমতো অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের একাংশ পঞ্চায়েতের প্রার্থীপদ বিক্রি করছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিষেকের যেমন কথা-তেমন কাজ! কেশপুরের ২ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণায় বিরাট চমক তৃণমূলের
advertisement
এছাড়াও দলের অভ্যন্তরে দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে তিনি দলীয় নেতাদের চাকর বৃত্তি করতে পারবেন না বলে তাঁকে কোনও পদ দেওয়া হচ্ছে না, এমনটাও দাবি তাঁর। শঙ্কর দেবনাথের ফেসবুক লাইভে এসে করা এই ধরনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তবে কি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ মিলবে না জানতেন বলেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন শঙ্কর দেবনাথ।
আরও পড়ুন: খারিজ দুই রাজ্যের, পঞ্চায়েতে ঘাটতি মেটাতে আরও পাঁচ রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিশ চাইছে নবান্ন
তবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই অনেকে প্রার্থী পদ নিয়ে কিছুটা ইঙ্গিত পেতে শুরু করেছেন। ফলে কেউ কেউ যেমন দলত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। আবার কেউ অন্য দলে যোগ না দিলেও ভোট পর্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। তৃণমূল প্রকাশ্যে এই ধরনের পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও নির্বাচনী ফলাফলে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Sarthak Pandit