সোমবার কোচবিহার শহরের পুর এলাকার ১৪ নং ওয়ার্ডে একটি বাঁদরকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখএন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, "বাঁদরটি বেশ কিছুদিন যাবৎ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বেশ কয়েকটি বাড়ির গাছে বসে থাকত খাবারের আশায়। আচমকাই এ দিন তাকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। রীতিমত ভিড় জমে যায় বাঁদটিকে দেখতে।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোনাঝুড়ি থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি হচ্ছে মাটি, গাছ! নীরব প্রশাসন
স্থানীয় বাসিন্দারা সমাজ সেবমূলক একটি সংগঠনের সদস্যদের যোগাযোগ করলে তারা দ্রুত সেখানে পৌঁছন। তারপর বাঁদরটিকে ওঠানোর চেষ্টা করেন। দেখা যায় বাঁদরটির হাত এবং পায়ে কালো দাগ হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছিল বাঁদরটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। বাঁদরটির শরীরও শক্ত হয়ে গিয়েছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত বাঁদরটিকে পশু হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন সংগঠনের সদস্যরা। এক সদস্য শংকর রায় বলেন, "বাঁদরটিকে পশু হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করা হয়। তবে পশু হাসপাতাল বন্ধ থাকার কারণে তার সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বাঁদরটির মৃত্যু হয়। বাঁদরটির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।"
তবে গোটা ঘটনায় বন দফতরের কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি। বন্য প্রাণীর এহেন দুর্দশার সময় তারা কেনও ভূমিকা পালন করেননি। এ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। এ দিন মৃত্যুর পরে বাঁদরটিকে নদীর চরে নিয়ে গিয়ে সঠিক পদ্ধতি মেনে কবরস্থ করা হয়। সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা এই সম্পূর্ন কাজটি করেন।
Sarthak Pandit