সওকত আলী জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে অস্থায়ী এই টিনের ছাউনি তাঁর একমাত্র থাকার ভরসা। সাহায্যের জন্য তিনি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকে বহুবার আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে আদতে লাভ কিছুই হয়নি। শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি মিলেছে একগুচ্ছ। বর্তমানে তাই কোন প্রকার মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। নদী ভাঙনে তার জমি এবং ভিটেমাটি সবকিছু চলে গিয়েছে। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী এবং তিনি বহু কষ্টে দিন যাপন করছেন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সকল মানুষেরা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াবেন তাঁদেরকেই ভোট দিয়ে জয়ী করবেন তাঁরা। এখনো পর্যন্ত যারা এসেছেন তাঁদের কাছে ভোট চাইতে সেই প্রার্থীদেরকেও তাঁরা এই কথা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।”
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ‘তৃণমূলের এখনকার নেতারা সবই বামেদের লোক,’ বিস্ফোরক দাবি দলত্যাগী নেতার
সওকত আলীর মতন প্রায় একই রকম বক্তব্য রিঙ্কু খাতুন ও আমিনুর মিঁয়ার। তাঁরা দুজনই জানান, “ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কোন প্রকার মাথা গোঁজার ঠাঁই করে রয়েছেন তাঁরা দুজনই। তাদের এই পরিস্থিতি ফেরানোর জন্য কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের পক্ষ থেকে। তাই বর্তমানে অসহায় ভাবে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। টিনের ছাউনির ঘর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জল পড়ে। বৃষ্টি হলে রীতিমত উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। সারারাত জেগেও কাটাতে হচ্ছে। তবে আদতে এই পরিস্থিতির উন্নতি কবে হবে তা কেউ জানে না। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পারছেন তাঁরা। যে সকল প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাদের কাছে দুজনের একটাই আবেদন। তাঁদের কাছে যেন সাহায্যের হাত এসে পৌঁছায়।”
Sarthak Pandit