প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা তেলিপাড়া চা বাগান এলাকায় অভিযান চালায়।সেখানের সূত্রের তথ্য অনুযায়ী একটি গাড়িতে লাল চন্দন কাঠ বোঝাই অবস্থায় বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেখান থেকে ত্রিলোকী প্রসাদ জয়শওয়াল ও নির্মল দাস নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুজন আলিপুরদুয়ার জেলার হাসিমারা ও অপর জন কোচবিহার জেলার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বনকর্মীরা জানতে পারে বিভিন্ন জায়গায় কাঠ মজুত করা রয়েছে। পরবর্তীতে বিন্নাগুড়ি, মালবাজার, গরুমারা নর্থ ও সাউথ রেঞ্জের বনকর্মীরা যৌথ ভাবে কোচবিহারে হানা দেন।তার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করছে বনদফতর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তা, চলাফেরা করাই দায়! ক্ষোভ এলাকাবাসীর
আরও পড়ুনঃ শেষ হয়েছে শ্রাবণী মেলা, কিন্তু হয়নি মাঠ পরিষ্কার!
একসময়ের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভূষণ সিংয়ের বাড়ি সংলগ্ন সিং মার্কেট এলাকা থেকে এদিন উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ কাঠ। বর্তমানে তিনি কোচবিহার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে রয়েছেন। পুলিশ ও বনকর্মীদের উপস্থিতিতেই এদিনের এই উদ্ধার কাজ চালানো হয়। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) কুমার সানি রাজ জানান, "উদ্ধার হওয়া কাঠ বিরল লাল চন্দন কাঠ। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের কাঠ রয়েছে এখানে।"
তবে উদ্ধার হওয়া কাঠের সঙ্গে ভূষণ সিংয়ের কোনও যোগ রয়েছে কিনা বিষয়টি এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে জানতে ভূষণ সিংকে বার-বার ফোন করা হলেও তার সবকটি ফোনই বন্ধ ছিল। তবে এত বিপুল পরিমাণ লাল চন্দন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিক। বনদফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী চন্দন কাঠ রয়েছে জলপাইগুড়ি গরুমারা রেঞ্জে এবং এই ঘটনায় ধৃতদের আগামীকাল জেলা আদালতে তোলা হবে। বর্তমানে কাঠের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য গরু মারা জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।
গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ডিএফও অংশু যাদব বিষয়টি নিয়ে জানান, "বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণি স্কোয়াডের কর্মীরা গোপন খবর পেয়ে দুই ব্যক্তিকে লাল চন্দন কাঠ-সহ গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা সামনে আসে। সেখান থেকে প্রায় ২ কুইন্টাল লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয়।"
Sarthak Pandit