এই পুজো এক উদ্যোক্তা ভবানী প্রসাদ বর্মন জানান, "শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর বেশ অনেকটাই জনপ্রিয়তা রয়েছে কোচবিহার জেলায়। বহু মানুষেরা মনে করে থাকেন এই পুজোয় এসে মানত করলে যে কোন কাজে সিদ্ধি লাভ হয়। আর মূলত সেই টানেই প্রচুর মানুষ প্রতিবছর ভিড় জমান এই পুজোর মধ্যে। এছাড়াও এদিন অষ্টমী স্নানকে উপলক্ষ করে একটি একদিনব্যাপী মেলাও বসতে দেখা যায় এখানে।" মাথাভাঙা শহরের এক প্রবীণ নাগরিক মুকুল চন্দ্র দাস জানান, "ছোটবেলা থেকেই তাঁরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে, তবে মেলার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং দিন গেছে আর মেলার জনপ্রিয়তা আরোও বেড়ে উঠেছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'বীরভূমের মানুষ আমি ভুবন বাদ্যকর'! আসছে বাদাম কাকুর নতুন গান! থাকছে রহস্য!
আরও পড়ুন:
মেলার আয়োজন কমিটির সভাপতি রমেন প্রামানিক জানান, "প্রতিবছর এই একদিন ব্যাপী বিশাল মেলার আয়োজন করা হয় মাথাভাঙা মহকুমা এলাকার মানসাই নদীর ধারে। তবে বিগত দুই বছর করোনার প্রভাবে মেলায় কিছুটা ভিড় কম হয়েছিল। তবে এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে প্রচুর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আবারও এই মেলায় যোগদান করছেন। এই মেলা ও পুজোকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের মধ্যে নানান কথা প্রচলিত রয়েছে। তবে গোটা মেলা যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় সেই মর্মে পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে মেলার মধ্যে। তবে এ বছর নদীতে জলের গভীরতা বেশি থাকার কারণে। হোস পাইপের মাধ্যমে নদী থেকে জল তুলে স্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে পুণ্যার্থীদের জন্য।"
Sarthak Pandit