এছাড়া পোকার আক্রমণ হওয়া এই বাঁধাকপি বাজার জাত করলে সঠিক মুনাফা পাওয়া যায় না। তবে এর থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হয় কিছু বিষয়ের দিকে। বীজ রোপণ থেকে শুরু করে চারা গাছ রোপণ করা পর্যন্ত খেয়াল রাখতে হয় সর্বোচ্চ। তবে তারপরেও সামান্য খেয়াল রাখলেই এই চাষ থেকেও দারুণ মুনাফা লাভ করা সম্ভব।
advertisement
আরও পড়ুন: তাঁর নাম জানে না কেউ, পরিচয় ভবঘুরে! রাস্তার ধারে এ কী কাণ্ড করলেন? হতবাক সকলে
কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের শস্যের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ড: সুরোজ সরকার জানান, “বাঁধাকপির চারা প্রথমে বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে জৈব সার বলতে মূলত কেঁচো সার ও গোবর সার ব্যবহার করতে হবে এই চাষের ক্ষেত্রে। বীজতলার আকার ১ মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত।
এছাড়া জমি তৈরির জন্য গভীর ভাবে ৪-৫টি চাষ দিয়ে মাটি পুরো ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে। শেষ চাষের সাথে জমিতে প্রয়োজনীয় সার সমানভাবে মাটির সঙ্গেমিশিয়ে দিতে হবে। জমি তৈরি হয়ে গেলে মাটি থেকে ১৫-২০ সে.মি. উঁচু ও এক মিটার চওড়া করে বেড তৈরি করে নিতে হবে। একটি বেড থেকে অন্য বেডের মাঝখানের দুরত্ব কমপক্ষে ৩০ সে. মি. রাখতে হবে এবং বেডের মাঝে নালা রাখতে হবে।”
এছাড়াও তিনি আরও জানান, “ভাল ফলন পেতে হলে জমিতে পরিমাণ মতো সার প্রয়োগের বিকল্প নেই। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ যেমন বজায় থাকে তেমনি পরিবেশ ভাল থাকে। বাঁধাকপির জন্য প্রতি একর জমিতে ১২৫ কেজি গোবর সার, টিএসপি ৮০০ গ্রাম, এমওপি ৬৫০ গ্রাম সার দিতে হবে।’’
তিনি আরও জানালেন, ‘‘ জমি তৈরির সময় সম্পূর্ন গোবর ও টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। এমওপি সার ২ কিস্তিতে চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর একবার এবং ৩০-৪০ দিন পর আরও একবার প্রয়োগ করতে হবে। বাঁধাকপির রোগ ও পোকার মধ্যে সবথেকে ক্ষতিকর পোকা হল মাথা খেকো পোকা বা ল্যাদা পোকা। অন্যান্য পোকার মধ্যে বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি মাঝে মাঝে ক্ষতি করে থাকে।” এইভাবে চাষ করার পর চাষিরা ভাল ফলন পাবেন এটা নিশ্চিত।
Sarthak Pandit