Murshidabad News: তাঁর নাম জানে না কেউ, পরিচয় ভবঘুরে! রাস্তার ধারে এ কী কাণ্ড করলেন? হতবাক সকলে

Last Updated:

বেলডাঙায় জাতীয় সড়কের ধারে বসে থাকেন ৫০ বছরের প্রৌঢ় ভবঘুরে মহিলা।

+
তাঁর

তাঁর নাম জানে না কেউ, পরিচয় ভবঘুরে! রাস্তার ধারে এ কী কাণ্ড করলেন? হতবাক সকলে

মুর্শিদাবাদ: জাতীয় সড়কের পাশেই বসে থাকেন এক ভবঘুরে, আর তার বর্তমানের কাণ্ড দেখে অনেকেই অবাক। পথ চলতি সকলেই তাকে পাগলি হিসেবে চেনেন কিন্তু তার বর্তমানের কাণ্ডে গর্বিত সকলেই।
মুর্শিদাবাদ জেলার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর অবস্থিত শহর বেলডাঙা। আর সেই বেলডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বসে থাকেন এক ভবঘুরে। মাথার ওপর তার ঘর না থাকলেও ঘর বলতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধিগৃহীত বিস্তৃত জমি।
খোলা আকাশের নীচে এক টুকরো প্লাস্টিক মুড়ি দিয়ে রাত কাটিয়ে দেন ৫০ বছরের প্রৌঢ় পাগলি। তাঁর নাম কেউ জানেন না। আর সেখানে বসেই তিন মণ ধান ফলিয়েছেন ভবঘুরে ওই মহিলা। তবে এই খবর পেয়ে কৃষি দফতরের এক প্রতিনিধি দল গিয়ে পরিদর্শন করেন। বিষয়টি তারাও খতিয়ে দেখেন।
advertisement
advertisement
জানা যায়, বেলডাঙার জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বেসরকারি গাড়ি স্ট্যান্ডের উল্টো দিকে নির্মীয়মাণ জাতীয় সড়ক রয়েছে। বর্তমানে চলছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ। অসমাপ্ত হয়ে পড়ে থাকা জাতীয় সড়কের একটি লেন এবং তার সংলগ্ন বিশাল এলাকা জুড়েই প্রায় তিন মণ ধান ফলিয়েছেন ওই ভবঘুরে মহিলা।
advertisement
বর্তমানে অর্ধেক ধান পেকেও গিয়েছে।কয়েক দিন আগে একটু বৃষ্টিতেই ওই এলাকায় জল জমে যায়। ফলে চলাচলের অসুবিধা হয়। চলতি বর্ষাতেও জল জমেছিল। সেই জল একটু সরে যেতেই হঠাৎই সেখানে নিজের ঠিকানা গড়ে তোলেন মহিলা বলেই জানা যায়। সেখানেই তিনি একটু একটু করে ফলিয়েছেন ধান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উদ্বৃত্ত ধানের চারা জড়ো করে চারদিকে রোপণ করে দিয়েছিলেন ভবঘুরে পাগলি। জাতীয় সড়কের পাশেই পড়ে থাকা গোবরকে সার হিসাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। প্রথম প্রথম তাঁর কাণ্ড দেখে পথচলতি মানুষ মজা করতেন। তবে এই কাজে তাকে কেউই বাধা দেননি তাঁকে। আর মহিলাও আপন খেয়ালে ধানের চারা পুঁতে গিয়েছেন।
advertisement
বিশাল রাস্তার মাঝখানে আচমকা বিশাল জায়গা জুড়ে ধানগাছ দেখে হতবাক হয়েছেন স্থানীয়রা ও পথ চলতি মানুষজন। আর ঠান্ডা পড়লেও সেই ধানের ক্ষেতের পাশে বসেই ধান ক্ষেত আগলে রাখছেন পাগলি। সকাল থেকে সন্ধ্যা তার তৈরি ক্ষেত আগলেই সময় কেটে যায় তাঁর, যে যা খাবার দেয় তাই খেয়েই দিন গুজরান করেন। কোনদিনও খাবার না পেলেও অনায়াসে কাটিয়ে দেন। যদিও তার নাম বলতে পারেন না তিনি। আর ধানের কাছে কেউ গেলে তাকে তেড়ে চলে আসেন।
advertisement
এক বেসরকারি বাস চালকের কথায়, ওই ধানগাছগুলোতে কাউকে হাত দিতে দেন না তিনি। যদিও কার্তিক মাস শেষ হতে চলল, ঠান্ডার আমেজ পড়ছে। আর এখন ইতিমধ্যেই অর্ধেকের বেশি ধান পেকে গিয়েছে।
সেগুলো ঝাড়াই-মাড়াই করে একাই বস্তাবন্দি করে ফেলেছেন ৫০-এর মহিলা। সেই বস্তায় কারও হাত দেওয়ার জো নেই। এখনও অর্ধেক ক্ষেতের ধান তোলার কাজ বাকি। সব মিলিয়ে প্রায় তিন মণের বেশি ধান ফলিয়েছেন তিনি। জাতীয় সড়কের জন্য পড়ে থাকা জমিতে এমন এক মহিলার ধান ফলানোর কাণ্ডে অবাক সকলেই।
advertisement
কৌশিক অধিকারী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Murshidabad News: তাঁর নাম জানে না কেউ, পরিচয় ভবঘুরে! রাস্তার ধারে এ কী কাণ্ড করলেন? হতবাক সকলে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement