এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল হোসেন জানান, “প্রায় মাস ৬ আগে তার বছর ১৫-র ছেলে আচমকায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে আনোয়ার মিঁয়া তাঁর নিখোঁজ ছেলের শোকে আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন। এলাকার পাড়া-প্রতিবেশীরা বহুবার তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন যে তাঁর ছেলে ফিরে আসবে। তবে মানসিক অবসাদের কারণেই এদিন সকালে তিনি বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছে আত্মঘাতী হন। বর্তমানে তার মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছে, মাথাভাঙ্গা থানায়। তবে এখানে শল্য চিকিৎসক না থাকার কারণে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ ময়নতদন্তের জন্য।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, তোলপাড় কোচবিহার
মৃত ব্যক্তির দুই ভাই মনোয়ার হোসেন ও সেরাজুল আলম জানান, “গতকাল রাতে তাঁদের দাদা বাড়িতেই ছিলেন। তবে আচমকাই সকাল থেকে তাঁর আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খোঁজাখুঁজি করলে তাঁকে বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি তাঁর দেহ উদ্ধার করা হলেও, ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। মূলত ছেলের শোকেই তাঁদের দাদার এমন পরিণতি। বর্তমানে তাঁদের দাদার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
কোচবিহার খবর (Cooch Behar News)
Sarthak Pandit