খাগের কলমে লেখা তাল পাতার কাগজের ওপর দেবনাগরী হরফের এই পুঁথি ছাড়া কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয় কোচবিহার মহারাজা প্রচলিত কোনও দুর্গাপুজা। নিয়ম নীতি সমস্ত কিছুই আলাদা এই পুঁথি অনুযায়ী। সাধারণভাবে পঞ্চমী বা ষষ্ঠী তিথি থেকে পুজো শুরু হয়, কিন্তু বড় দেবী বা মদনমোহন বাড়িতে পুজোর নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির রাজ পুরোহিত হিরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, "এই পুঁথি অনুযায়ী বড় দেবী এবং মদনমোহন বাড়ির পুজো শুরু হয় মহালয়ার দিন থেকে। মহালয়ার দিন ঘট বসে। তারপর থেকে একটানা সাত দিন অর্থাৎ দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন রীতিনীতি মেনে পুজো করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : ওষুধের খালি পাতায় তৈরি হচ্ছে দুর্গা! প্রতিমা গড়ে নজর কেড়েছেন শিল্পী সোমা
আরও পড়ুন : ৪০০ বছর পার করে আজও অমলিন ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো
সাধারণভাবে পুজোর নিয়মের সাথে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে এই পুঁথিতে। পুঁথির বয়স আদতে কত, সেটা কেউ বলতে পারবেনা। একপ্রকার বলা সম্ভবই নয়। তবে অনুমান করা হয় এই পুঁথির বয়স ৬০০ থেকে ৬৫০ বছর পুরনো। একসময় এই পুঁথি শোভা বর্ধন করত রাজবাড়ীর রাজমাতার নিজস্ব মন্দিরে। পরবর্তীতে এই পুঁথি সংরক্ষিত হয়ে আছে মদনমোহন বাড়িতে। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, মদনমোহনের নিত্যপুজো ছাড়াও জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, মহালক্ষ্মী, বিপত্তারিণী এবং মা ভবানী পুজোর নিয়ম-নীতি লিখিতভাবে রয়েছে এই পুঁথিতে।