আসলে বাঙালির দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে এই ‘যাত্রার ফুল’ বা ‘কদম ফুল’। কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ভেটাগুড়ি এলাকায় কয়েকশো পরিবার এখনোও এই শোলার জিনিস বানিয়েই নিজেদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। দুর্গাপুজো মানেই শোলার কদম ফুল বা যাত্রার ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। এই বিষয়ে শোলাশিল্পী প্রশান্ত বর্মন জানান, ‘‘কাঁচা শোলার সংকটের জন্য শোলা বাইরে থেকে আমদানি করে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে শত কষ্টের মধ্যেও এখনোও অনেকেই বাপ-দাদার এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তাঁরা। কোচবিহার জেলার ভেটাগুরি গ্রামের ৪০০ থেকে ৫০০টি পরিবার এই পেশায় নিয়জিত আছে এখনও।’’
advertisement
শোলা শিল্পী দ্রৌপদী মোহন্ত বর্মন জানান, ‘‘শোলা দিয়ে তাঁরা কদম ফুল তৈরি করছেন দীর্ঘ সময় ধরে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি ক্রেতারা এই ফুল কিনে নিয়ে যান পুজোর আগে। বর্তমান সময়ে শোলা সহজে পাওয়া যায় না। তাই বাইরের থেকে এই শোলা আমদানি করে নিয়ে আসতে হয়। আর শোলা ছাড়া এই যাত্রার ফুল বা কদম ফুল বানানো সম্ভব নয়।’’
এছাড়া শোলা শিল্পী পম্পি রায় জানান, ‘‘তাঁরা একজন শিল্পী একা হতে আনুমানিক প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ জোড়া ফুল তৈরি করতে পারেন। এতে লাভের পরিমাণ খুব কম থাকে। তবে ঐতিহ্য ও ভাল লাগার টানেই এই কাজ করেন তাঁরা।’’ বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠান কিংবা অন্যান্য পুজোর মধ্যেও এই শোলার কদম ফুলের প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়।