TRENDING:

Durga Puja 2023: 'শর‍‍ৎদিনের কদমফুল’! দেবীর মঙ্গলঘটের অপরিহার্য এই উপাদান তৈরি করেই অন্নসংস্থান ৫০০ পরিবারের

Last Updated:

Durga Puja 2023: বাঙালির দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে এই 'যাত্রার ফুল' বা 'কদম ফুল'। দিনহাটা মহকুমার ভেটাগুড়ি এলাকায় কয়েকশো পরিবার এখনোও এই শোলার জিনিস বানিয়েই নিজেদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সার্থক পণ্ডিত, ভেটগুড়ি: শারদীয়া পুজো আর শোলার ফুল যেন একে অপরের অনেকটাই কাছাকাছি অবস্থান করে। তবে অবশ্য মঙ্গল চিহ্ন হিসেবে সেই প্রাচীন কাল থেকেই এই শোলার ফুলের ব্যবহার চলে আসছে। বিশেষ করে বাঙালির দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীতে এর মূল্য হয়ে দাঁড়ায় বেশ অনেকটাই। মূলত ষষ্ঠীর দিন থেকেই বিভিন্ন বাজারে উঠতে শুরু করে এই শোলার ফুলগুলি। তবে বিজয়া দশমীর দিন দীর্ঘ সময় ধরে বাঙালির রীতি রয়েছে ‘যাত্রার ফুল’ বা ‘কদম ফুল’ নামের এই জিনিস দেবীর মঙ্গল ঘটে দিয়ে পুজো সম্পন্ন করা। তার পর অনেকেই এই ফুলগুলি নিজেদের বাড়ির সদর দরজায় ঝুলিয়ে দিয়ে থাকেন।
advertisement

আসলে বাঙালির দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে এই ‘যাত্রার ফুল’ বা ‘কদম ফুল’। কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ভেটাগুড়ি এলাকায় কয়েকশো পরিবার এখনোও এই শোলার জিনিস বানিয়েই নিজেদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। দুর্গাপুজো মানেই শোলার কদম ফুল বা যাত্রার ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। এই বিষয়ে শোলাশিল্পী প্রশান্ত বর্মন জানান, ‘‘কাঁচা শোলার সংকটের জন্য শোলা বাইরে থেকে আমদানি করে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে শত কষ্টের মধ্যেও এখনোও অনেকেই বাপ-দাদার এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তাঁরা। কোচবিহার জেলার ভেটাগুরি গ্রামের ৪০০ থেকে ৫০০টি পরিবার এই পেশায় নিয়জিত আছে এখনও।’’

advertisement

শোলা শিল্পী দ্রৌপদী মোহন্ত বর্মন জানান, ‘‘শোলা দিয়ে তাঁরা কদম ফুল তৈরি করছেন দীর্ঘ সময় ধরে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি ক্রেতারা এই ফুল কিনে নিয়ে যান পুজোর আগে। বর্তমান সময়ে শোলা সহজে পাওয়া যায় না। তাই বাইরের থেকে এই শোলা আমদানি করে নিয়ে আসতে হয়। আর শোলা ছাড়া এই যাত্রার ফুল বা কদম ফুল বানানো সম্ভব নয়।’’

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

এছাড়া শোলা শিল্পী পম্পি রায় জানান, ‘‘তাঁরা একজন শিল্পী একা হতে আনুমানিক প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ জোড়া ফুল তৈরি করতে পারেন। এতে লাভের পরিমাণ খুব কম থাকে। তবে ঐতিহ্য ও ভাল লাগার টানেই এই কাজ করেন তাঁরা।’’  বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠান কিংবা অন্যান্য পুজোর মধ্যেও এই শোলার কদম ফুলের প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কোচবিহার/
Durga Puja 2023: 'শর‍‍ৎদিনের কদমফুল’! দেবীর মঙ্গলঘটের অপরিহার্য এই উপাদান তৈরি করেই অন্নসংস্থান ৫০০ পরিবারের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল