কোচবিহারের এক ইতিহাস অনুসন্ধানী ঋষিকল্প পাল জানান, “আনুমানিক ১৫৬২ থেকে ১৫৬৪ সালের মধ্যে মূর্তি নির্মাণ করে এই পুজোর সূচনা করেন কোচবিহারের তৎকালীন মহারাজা নরনারায়ণ। তবে তখন তিনটি পৃথক ঘরে এই সম্পূর্ণ পুজো করা হত বড় দেবীর। তার পর মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ এই মূল দালান মন্দিরটি নির্মাণ করেন ১৯১৬ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে। তবে রাজ আমলের এই মন্দিরের স্থাপত্য শৈলী দেখলে যে কোনও মানুষ খুব সহজেই আকৃষ্ট হবেন এটুকু নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব। প্রাথমিক ভাবে যে মন্দিরের দালান তৈরি করা হয়েছিল। সেই দালানের মধ্যে পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তনের পর বর্তমান দালানটি আমরা এখন এই রূপে দেখতে পাই।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “এই দালানের সামনের বড় অংশে বড় দেবীর মূর্তি তৈরি করা হয় ও পুজো করা হয়। এছাড়া মূর্তির ঠিক পিছনের ছোট ঘরের মধ্যে গুপ্ত পুজো করা হয় দুর্গাপুজোর সময়। এছাড়াও এই মন্দিরের বাকি ঘরে পুজোর দিনগুলিতে ঠাকুরের জন্য বিভিন্ন বাসনপত্র ও পূজারীদের থাকার জায়গা করা হয়। তবে এই মন্দির কোচবিহারের বুকে স্থাপিত অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী একটি মন্দির। যা আজও জানান দেয় কোচবিহারের বুকে রাজ আমলের তৈরি স্থাপত্যের নির্মাণ শৈলীর বিষয়ে।”





